সিলেট পর্বের প্রথম ম্যাচেই বড় এক ধাক্কা খেলো সিলেট স্ট্রাইকার্স। ব্যাটারদের ব্যর্থতায় রংপুর রাইডার্সের কাছে ৬ উইকেটে হেরেছে তারা। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৯ উইকেটে ৯২ রানের বেশি করতে পারেনি সিলেট। জবাবে লো-স্কোরিং ম্যাচে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৫ ওভার ৪ বলে লক্ষ্যে পৌছে যায় রংপুর রাইডার্স।
আর মাত্র দুই জয় পেলেই সবার আগে কোয়ালিফায়ার্স রাউন্ড নিশ্চিত হবে ফর্মের তুঙ্গে থাকা সিলেটের। সাথে ছিল ঘরের মাঠের সমর্থন। কিন্তু নিয়তির ভাবনা ছিল ভিন্ন। ইনিংসের ২য় ওভারেই প্রথম আঘাত হানেন আফগান পেসার আজমতউল্লাহ ওমরজাই। টম মোরেসকে ফেরান মাত্র ২ রানে। ৩য় ওভারেই নাজমুল শান্তকে আউট করেন মেহেদী হাসান। ৯ রান করা শান্ত আউট হন দলীয় ১২ রানে।
অবশ্য এর পরের ওভারেই সবচেয়ে বড় বিপর্যয়ে পড়ে সিলেট। নিজের ২য় ওভারে মেডেনের পাশাপাশি ইনফর্ম তৌহিদ হৃদয় আর মুশফিকুর রহিমকে আউট করে রংপুরকে ম্যাচের চালকের আসনে বসিয়ে দেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই।
তৌহিদ হৃদয় আর মুশফিকুর রহিমের পর শূন্য রানে আউট হন জাকির হোসেনও। মেহেদী হাসানের বলে জাকিরকে স্ট্যাম্পিং করেন রংপুরের অধিনায়ক সোহান। মাত্র ১২ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বিপিএলের সর্বনিম্ন রানে অলআউট হবার লজ্জার সামনে পড়ে যায় সিলেট।
এরপর থিসারা পেরেরা আর ইমাদ ওয়াসিমও দ্রুত ফিরলে ১৮ রানে ৭ম উইকেট হারায় সিলেট। খাদের কিনারা থেকে তখন দলের হাল ধরেন তানজিম সাকিব আর অধিনায়ক মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা। ৮ম উইকেট জুটিতে ৫৪ রানের জুটি গড়ে দলকে লজ্জার হাত থেকে বাঁচান এই দুই ব্যাটার। ২১ বলে ২১ রান করে হাসান মাহমুদের বলে আউট হন মাশরাফী।
৩৬ বলে ৪১ রান করা তানজিম সাকিবকেও ফেরান হাসান মাহমুদ। দলীয় ৮৫ রানে তানজিম আউট হলে ৯ম উইকেটের পতন ঘটে। শেষ দুই ওভারে অবশ্য মোহাম্মদ আমির আর রেজাউর রাজা শেষ উইকেটের পতন হতে দেননি। শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেটে সিলেটের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৯২ রান। ওমরজাই আর হাসান মাহমুদ নিয়েছেন ৩টি করে উইকেট। মেহেদী হাসান দু’টি আর হারিস রউফ নিয়েছেন একটি উইকেট।
লো-স্কোরিং ম্যাচে দারুণ শুরু করেও বেশি দূর যেতে পারেনি সিলেটের দুই ওপেনার। দলীয় ২৭ রানে মোহাম্মদ নাঈম ১৮ রান করে আউট হন রাজার বলে। ৪৪ রানে মেহেদী হাসান আর শোয়েব মালিককে পরপর দুই বলে আউট করে ম্যাচে কিছুটা প্রাণ ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেন মাশরাফী।
আজমতউল্লাহ ওমরজাইও খুব বেশি সময় টিকতে পারেননি। তবে লক্ষ্যটা যখন ৯২, তখন খুব বেশি সমস্যা হয়নি রংপুরের। এক প্রান্তে রনি তালুকদারের অপরাজিত ৪১ রানের পাশাপাশি মোহাম্মদ নেওয়াজের অপরাজিত ১৮ রানে ৬ উইকেট হাতে রেখেই লক্ষ্যে পৌছে যায় রংপুর। ম্যাচ সেরা হয়েছেন ৩ উইকেট নিয়ে সিলেটের ইনিংসে ধস নামানো আজমতউল্লাহ ওমরজাই।
এই জয়ের ফলে ৭ ম্যাচ শেষে ৮ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের চারে রয়েছে রংপুর। ৮ ম্যাচে ২য় হারের মুখ দেখা সিলেট অবশ্য ১২ পয়েন্ট নিয়ে রয়েছে টেবিলের শীর্ষেই।
/এ এইচ
Leave a reply