যুক্তরাষ্ট্রের টেনেসির মেম্ফিসে কৃষ্ণাঙ্গ তরুণ টায়ার নিকোলসের ওপর পুলিশের নির্যাতনের ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে। পুলিশের বডিক্যামে ধরা পড়ে নির্যাতনের ভয়াবহ দৃশ্য। নির্যাতনের শিকার ২৯ বছর বয়সী টায়ার নিকোলসের মৃত্যু ঘটেছে তাকে হাসপাতালে ভর্তির তিনদিন পর। এই ঘটনার প্রতিবাদে টেনেসি, নিউইয়র্কসহ বিক্ষোভ হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকটি শহরে।
শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যায়, গত ৭ জানুয়ারি মেমফিস শহরে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনের দায়ে নিকোলসের গাড়ি থামায় পুলিশ। টেনেহিচড়ে তাকে নামানো হয় গাড়ি থেকে। চোখে মরিচের গুঁড়া স্প্রে করে পেটানো হয় নির্মমভাবে। পেছনে বেঁধে ফেলা হয় তার হাত। সে সময় ‘মা-মা’ বলে চিৎকার করতে শোনা যায় তাকে। গুরুতর আহত হয়ে অনেকটা নিস্তেজ হয়ে পড়েন নিকোলস। ১৯ মিনিটের মাথায় স্ট্রেচার এনে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। হাসপাতালে নেয়ার তিনদিন পর মৃত্যু হয় তার।
প্রাথমিকভাবে পুলিশ দাবি করেছিল, বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালানোর দায়ে টায়ার নিকোলসকে আটকানো হয়েছিল। সেই সাথে, এই কৃষ্ণাঙ্গ তরুণের বিরুদ্ধে মাদক গ্রহণসহ পুলিশের বন্দুক ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টার অভিযোগও আনা হয়। কিন্তু প্রকাশিত ভিডিওতে কোনো অভিযোগেরই সত্যতা পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে বিবিসি, সিএনএনসহ পশ্চিমা বেশ কিছু গণমাধ্যম।
এ ঘটনায় ৫ পুলিশ কর্মকর্তাকে হত্যার দায়ে অভিযুক্ত করেছে মার্কিন আদালত। গত কয়েক বছরে কৃষ্ণাঙ্গদের ওপর পুলিশি নির্যাতনের ঘটনা বেড়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। ২০২০ সালে মিনিয়াপোলিসে পুলিশের হাতে জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুর পর তীব্র বিক্ষোভ ছড়ায় দেশজুড়ে।
আরও পড়ুন: নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে বিবিসি’র তথ্যচিত্র প্রদর্শনকে কেন্দ্র করে দিল্লিতে আটক ২৪
/এম ই
Leave a reply