নারিন্দার এক স্কুল নিয়ে যমুনা টিভির রিপোর্টে মানবাধিকার কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ

|

রাজধানীতে নারিন্দা মুসলিম সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বেহাল দশা নিয়ে যমুনা টেলিভিশনে করা প্রতিবেদনের প্রতি দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের।

রোববার (২৯ জানুয়ারি) জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে স্কুলটির অবকাঠামোগত অবস্থা নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করা হয়। নারিন্দা মুসলিম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবকাঠামোগত উন্নয়নে যেসব বাধা আছে, সেসব নিয়ে তদন্ত করে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণে কমিশনকে অবহিত করতে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালককে বলা হয়েছে। এছাড়া, আদেশের অনুলিপি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে পাঠানোর ব্যাপারেও জানানো হয়েছে।

যমুনা টেলিভিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়, একটি স্কুল। একটি মাত্র রুম। এ রুমেই চলে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণির পাঠদান। এছাড়া শিক্ষকদের দাফতরিক কাজ থেকে শুরু করে ওয়াশরুম সবই এই একটি রুমের ভেতর। গত ৫০ বছর ধরে এভাবেই চলছে নারিন্দা মুসলিম সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। এলাকায় স্কুলটির পরিচিতি ‘এক ঘরওয়ালা স্কুল’ নামে। শুনলে অজপাড়া গাঁ কিংবা নির্জন কোনো চরের কথা মাথায় আসে। কিন্তু এটির অবস্থান খোদ রাজধানী ঢাকায়।

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, বাইরে থেকে দেখে মনে হয় বিদ্যালয়টি যেনো পুরনো কোনো গোডাউন। এক রুমের ভেতর একপাশে চলছে ক্লাস। ক্লাস হয় আবার দুই শিফটে। প্রথম শিফটে শিশু থেকে দ্বিতীয় শ্রেণি এবং দ্বিতীয় শিফটে হয় তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণির ক্লাস। রুমের অন্যপাশে প্রধান শিক্ষকসহ অন্য শিক্ষকদের বসার স্থান। পাশেই টয়লেট। স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, ৫০ বছর ধরে এভাবেই চলছে এ স্কুল। নানা আশ্বাস-প্রতিশ্রুতিতেও বদলায়নি পরিস্থিতি। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সময়ে সময়ে আসেন। পরিদর্শন করেন, চলে যান। কিন্তু স্কুলের ভঙ্গুর দশার কোনো উন্নতি হয় না।

এদিকে বিদ্যালয়ের এমন জরাজীর্ণ অবস্থার মধ্যেও গণমাধ্যমের সামনে কথা বলার সাহস করেননি শিক্ষক-শিক্ষিকারা। তবে অবকাঠামো নির্মাণসহ প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে সরকারের কাছে প্রবল আকুতি জানিয়েছে বিদ্যালয়টিতে অধ্যয়নরত কোমলমতি শিশুরা।

জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টে বলা হয়, খোদ রাজধানীর একটি সরকারি স্কুলের অবকাঠামোগত এমন বেহাল অবস্থা অত্যন্ত আশ্চর্যজনক। গত ৫০ বছরেও কেন বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আসেনি তা কমিশনের বোধগম্য নয়। এতে বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত কোমলমতী শিক্ষার্থীদের শিক্ষা গ্রহণ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এ অবস্থায় জরুরি ভিত্তিতে বিদ্যালয়ের অবকাঠামোগত উন্নয়ন করা সমীচীন।

আরও পড়ুন: রাজধানীতে এক রুমের স্কুল, ৫০ বছরেও নেই উন্নতি

/এম ই


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply