চলতি বিপিএলে ছুটছেই সিলেট স্ট্রাইকার্সের জয়রথ। খুলনা টাইগার্সকে ৩১ রানে হারিয়ে দুই ম্যাচ হাতে রেখে সবার আগে কোয়ালিফায়ার্স রাউন্ড নিশ্চিত করলো দলটি। দিনের ২য় ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে তৌহিদ হৃদয় আর জাকির হোসেনের অর্ধশতকে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৯২ রানের পাহাড় গড়ে সিলেট। ১৯৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ১৬১ থামে খুলনার ইনিংস।
সোমবার (৩০ জানুয়ারি) সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ধীরগতিতে শুরু করা নাজমুল শান্তকে হারিয়ে বিপাকে পড়ে স্বাগতিক সিলেট। আসরে সর্বোচ্চ রান করা শান্ত ব্যক্তিগত ৬ রান করে দলীয় ২৫ রানে মার্ক ডেয়ালের বলে শাই হোপের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন সাজঘরে।
এরপর নিজের চেনা রূপে দেখা দেন তৌহিদ হৃদয়। ২য় উইকেটে জাকির হোসেনের সাথে তিনি গড়েন ৬৮ বলে ১১৪ রানের জুটি। যা তার দলকে দেয় বড় সংগ্রহ গড়ার ভিত। ৪৯ বলে ৭৪ রান করে যখন হৃদয় সাজঘরে ফেরেন তখন সিলেটের রান ১৩৯।
জাকির হোসেনও তুলে নিয়েছেন অর্ধশতক। ৩৮ বলে তার করা ৫৩ রানের ইনিংসে ছিলো ৪টি বিশাল ছক্কা আর ২টি চারের মার। ১৭তম ওভারের ১ম বলে নাহিদুলের বলে বোল্ড হন জাকির।
শেষ ৫ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ৫৫ রান যোগ করে ১৯২ রানের বড় সংগ্রহ পায় সিলেট। যেখানে ৭ বলে ১৭ করেন থিসারা পেরেরা আর ১১ বলে ২১ রান যোগ করেন রায়ান বার্ল।
১৯৩ রানের পাহাড়সম লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই বিপাকে পড়ে খুলনা। দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও বালবির্নের উইকেট হারায় দলটি। তামিম ১২ রান ও বালবির্নে ফেরেন ৭ রান করে করে। তবে, ৩য় উইকেট জুটিতে শাই হোপ ও মাহমুদুল হাসান জয় কিছুটা লড়াইয়ের চেষ্টা চালান। তাদের জুটিতে আসে ৫৪ রান। ২২ বলে ৩৩ রানের ছোট্ট ক্যামিও ইনিংস খেলে শাই হোপ বিদায় নিলে আবার ব্যকফুটে চলে যায় খুলনা।
৪র্থ উইকেট জুটিতে জয়কে সাথে নিয়ে লড়াই চালিয়ে যান পাকিস্তানী হার্ড হিটার আজম খান। ১৭ বলে ৩৪ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলে আজম খান আউট হলে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় খুলনা টাইগার্স। শেষ পর্যন্ত ১৬১ রানে থামে খুলনার ইনিংস। সিলেটের হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট পান পেসার রুবেল হোসেন।
এ জয়ের সুবাদে, ১০ ম্যাচে ৮ জয় ও ২ হারে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে সিলেট স্ট্রাইকার্স। অন্যদিকে, ৮ ম্যাচে ২ জয় ও ৬ হারে ৪ পয়েন্ট নিয়ে পরবর্তী রাউন্ডে যাওয়া কঠিন করে ফেললো খুলনা টাইগার্স।
/আরআইএম
Leave a reply