স্টাফ রিপোর্টার, নেত্রকোনা:
হত্যা ও ডাকাতির দায়ে তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড ও ১৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেছেন নেত্রকোনা জেলা ও দায়রা জজ আদালত। যাবজ্জীবন প্রাপ্ত আসামিদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডেরও আদেশ দিয়েছেন কেএম রাশেদুজ্জামান রাজার আদালত।
মামলায় মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত আসামিরা হলেন- খালিয়াজুরী উপজেলার ওসমান গণি, সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার তাহের ও শাল্লা উপজেলার কাউসার আহমেদ।
যাবজ্জীবন সাজা প্রাপ্ত আসামিরা হলেন- শহীদ মিয়া, জ্যোতি মিয়া, মহিবুর ডাক্তার, রমজান মিয়া, সিদ্দিক মিয়া, মনু মিয়া, ইসলাম উদ্দিন, শাজাহান, তাহের, কবির, রোজ আলী, জিয়াউল হক, শফিক, দিদার, খলিল, আক্কাস, হীরা, কালইয়া (উস্তারআলী), শুক্কুর ও রুক্কেয়া (রহিম)। এদের মধ্যে রোজ আলী, হীরা ও রুক্কেয়া (রহিম) বিচার চলাকালীন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। এদের সকলের বাড়িই সুনামগঞ্জের দিরাই ও শাল্লা উপজেলায়।
এদিকে মামলা চলাকালে এক আসামির মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, নেত্রকোনার খালিয়াজুরী উপজেলার গোয়ালবাড়ী আদমপুর গ্রামে ২০১১ সালের ৪ সেপ্টেম্বর রাত আড়াইটার দিকে ২৫-৩০ জনের সংঘবদ্ধ ডাকাত দল মনোরঞ্জনের বাড়িতে ডাকাতির সময়ে গ্রামবাসী বুঝতে পেরে ডাকাতদের ঘেরাও করে।
এসময় ডাকাতরা গুলি করতে করতে পালিয়ে যায়। ডাকাতদের গুলিতে মনোরঞ্জন সরকারের পুত্র চয়ন সরকার (২৫) ঘটনাস্থলে নিহত হয়। পরে ওইদিনই নিহতের পিতা বাদি হয়ে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে খালিয়াজুরী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। তদন্ত শেষে ২০১৩ সালের ২৪ জানুয়ারি ২৩জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশীট দাখিল করে পুলিশ।
যমুনা অনলাইন: কেআর/টিএফ
Leave a reply