আমদানি নির্ভর আসবাব শিল্প এখন দেশের অন্যতম রফতানিমুখী খাত। একসময় যা ছিলো কেবলই কাঠের তৈরি সামগ্রী, তাতে এখন লেগেছে নান্দনিকতার ছোঁয়া। দেশের প্রয়োজন মিটিয়ে রফতানি হচ্ছে বিদেশেও। চট্টগ্রামে শুরু হওয়া ৬ দিনের ফার্নিচার মেলায় প্রদর্শিত হচ্ছে নানা ধরনের বাহারি সব আসবাবপত্র। মেলায় অংশ নিচ্ছে ২৭টি প্রতিষ্ঠান।
নান্দনিক কারুকাজের সাথে, বাহারি রঙ ব্যবহার আর আধুনিক নিত্য নতুন সব ডিজাইন। পুরোনো এই আসবাব শিল্পে বিনিয়োগ করছেন নতুন নতুন উদ্যোগতারা। কাজ করছেন নামকরা স্থপতি আর ডিজাইনাররাও। সব মিলিয়ে দেশের চাহিদা মিটিয়ে আসবাব এখন স্থান করে নিয়েছে বিশ্ববাজারেও।
রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্য মতে, বছর পাঁচেক আগেও রফতানির চেয়ে দেশে আসবাব আমদানির হার ছিল ৭৩ শতাংশ বেশি। মাত্র কয়েক বছরেই পাল্টে যায় সে চিত্র। গত অর্থবছরে যেখানে আসবাব আমদানি হয়েছিলো ২ কোটি ১৯ লাখ ডলারের, সেখানে এ খাত থেকে রফতানি হয়, ২ কোটি ২১ লাখ ডলারের। রফতানি হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র, স্পেন, কানাডাসহ বিশ্বের ২০ টি দেশে। দেশের গন্ডি পেরিয়ে ভারত, নেপাল ভুটান এমনকি, মধ্যপ্রাচ্যেও শো রুম খুলেছে বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান। রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধে সৃষ্ট অর্থনৈতিক মন্দা কাটিয়ে উঠলে, বাজার বাড়ার বড় সম্ভাবনা দেখছেন উদ্যোগক্তারা।
তবে, এ খাতের আধুনিক যন্ত্রপাতি ও ৮০ শতাংশ কাঁচামালই আমদানি নির্ভর। প্রতিযোগীতার বাজারে টিকে থাকতে শুল্ক কমানোর দাবি ব্যবসায়ীদের।
ফার্নিচার শিল্পকে দেশের অন্যতম রফতানি খাত হিসেবে গড়ে তুলতে এবার এ মেলার আয়োজন বলছেন উদ্যোগক্তরা।
/এসএইচ
Leave a reply