সাতক্ষীরা প্রতিনিধি :
সোনালী ব্যাংক থেকে ঋণ না নিয়েও ঋণখেলাপীর ঘটনা নিয়ে যমুনা টেলিভিশনে প্রতিবেদন প্রচারের পর ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের তদন্ত টিম গঠন করেছে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সোনালী ব্যাংক সাতক্ষীরার ডিজিএম মো. শাহ্ আলম এই তথ্য জানান।
মো. শাহ্ আলম বলেন, ঋণ প্রদানের এই তালিকাটি করেছিল সমাজসেবা অধিদফতর। সেই তালিকায় ঋণ দেয়া হয়। টাকাটি উত্তোলন করার কথাও সমাজসেবার। কেউ কেউ বলছেন তারা ঋণ নেননি। আবার ২০ জন ব্যাংক ঋণ পরিশোধও করেছেন। কেউ ঋণ না নিলে আমরা কোনোভাবেই তাকে হেয় করতে চাই না। আমরা দীর্ঘ বছর পড়ে থাকা এই ঋণটি একেবারেই ক্লোজড করে দিতে চাই।
সোনালী ব্যাংক সাতক্ষীরার ডিজিএম মো. শাহ্ আলম আরও বলেন, পুরো ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে। যাচাই-বাছাই করে দ্রুত সময়ে তাদের প্রতিবেদন জমা দেয়ার কথা বলা হয়েছে। এছাড়া ঋণ পরিশোধ না করলে কোনো গ্রাহকের বিরুদ্ধে মামলা হবে এই পদক্ষেপে আমরা যাচ্ছি না বা আমরা কেউ এমন কথা বলিনি।
এদিকে, সমাজসেবা অধিদফতরের উপ-পরিচালক সন্তোষ কুমার নাথ বলেন, ১৯৮৪-৮৫ সালে মাতৃকেন্দ্র ঋণদান কর্মসূচির আওতায় ঋণ প্রদানের তালিকা প্রস্তুত করেছিল তালা সমাজসেবা অধিদফতর কার্যালয়। এর কোো ডকুমেন্ট এই মুহূর্তে আমাদের কাছে নেই। তবে ব্যাংক কর্তৃপক্ষের কাছে কাগজপত্র চাওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, ১৯৮৪-৮৫ সালে সোনালী ব্যাংক সাতক্ষীরার তালা শাখা থেকে ৯১ জনকে সর্বোচ্চ এক থেকে দুই হাজার টাকা ঋণ প্রদান করা হয়। সেই টাকা থেকে এখনো ৬৫ হাজার টাকা ব্যাংক খাতায় অনাদায় রয়েছে। দীর্ঘ ৩৭ বছর পর ব্যাংকের তাগাদা পাওয়ার পর অনেকেই অবাক হন। এমন কোনো ঋণ তারা নেননি বলেও জানান। এ ঘটনায় গতকাল ৬ ফেব্রুয়ারি খবর প্রচার করে যমুনা টেলিভিশন।
ইউএইচ/
Leave a reply