চলতি সপ্তাহেই তুরস্ক-সিরিয়ায় মৃতের সংখ্যা ছাড়াতে পারে ২০ হাজার: জাতিসংঘ

|

তুরস্ক-সিরিয়ার সীমান্তবর্তী অঞ্চলে হওয়া ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৫ হাজার। তবে এ সংখ্যা ২০ হাজারও ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। বলা হয়েছে, এখনও ধ্বংসস্তুপের নিচে হাজার হাজার মানুষ আটকে রয়েছে। ফলে হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়বে। খবর দ্য গার্ডিয়ানের।

সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ৩টি ভূমিকম্প আঘাত হানে তুরস্ক ও সিরিয়ার সীমান্তবর্তী অঞ্চলে। মঙ্গলবারও একাধিকবার ভূমিকম্পের আফটার শক অনুভূত হয়েছে অঞ্চলগুলোতে। তাই উদ্ধারকাজ অব্যাহত থাকলে হতাহতের সংখ্যা আটগুণ হতে পারে বলে জানিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ক্যাথরিন স্মলউড।

ক্যাথরিন স্মলউড বলেন, এই ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগের ক্ষেত্রে দেখা যায়, উদ্ধার কাজ অব্যাহত থাকলে মৃতের সংখ্যাও বৃদ্ধি পায়। তুরস্ক ও সিরিয়ার ভূমিকম্পের বিষয়টিও একই। চলতি সপ্তাহের মধ্যেই এ ঘটনায় মৃতের সংখ্যা ২০ হাজার ছাড়াতে পারে।

সোমবারের এ ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়ায় এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা ৫ হাজার ছাড়িয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, আরও অন্তত ২০ হাজার মানুষের মৃত্যু হতে পারে। ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছে হাজার হাজার মানুষ। কেবল তুরস্কেই উদ্ধার হয়েছে তিন হাজারের বেশি মরদেহ। সিরিয়ায় এ পর্যন্ত দুই হাজারের কাছাকাছি মরদেহ উদ্ধার হয়েছে।

দুর্যোগ ও জরুরি ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের (এএফএডি) পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এ ভূমিকম্পে দু’দেশ মিলিয়ে এখন পর্যন্ত ২০ হাজার ৪২৬ জনের আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। প্রলঙ্কারী এ ভূমিকম্পের ফলে ৫ হাজার ৭৭৫টি ভবন ধসে পড়েছে। এগুলোর নিচে এখনও চাপা পড়ে আছে হাজার হাজার মানুষ। তাদের উদ্ধারে কাজ চলছে। তবে বৈরি আবহাওয়ার কারণে উদ্ধারকাজে বেগ পেতে হচ্ছে উদ্ধারকারীদের।

অবশ্য ত্রাণ, যন্ত্রপাতি ও উদ্ধারকারী দলসহ বিভিন্ন সহায়তা পাঠিয়েছে ইরাক, ইরান, জার্মানি ও রাশিয়া। যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো, ইসরায়েল এবং ভারত থেকেও রওনা হয়েছে উদ্ধারকারী দল। এর পাশাপাশি সহায়তা পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া এবং তাইওয়ান। বাংলাদেশ থেকেও তুরস্কে পাঠানো হচ্ছে উদ্ধারকারী দল।

এসজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply