দুই দেশের হয়ে টেস্ট সেঞ্চুরি হাঁকানো দ্বিতীয় ক্রিকেটার গ্যারি ব্যালান্স

|

ছবি: সংগৃহীত

টেস্ট ইতিহাসের দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে দুই দেশের হয়ে সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়লেন গ্যারি ব্যালান্স। বুলাওয়েতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে জিম্বাবুয়ের জার্সিতে অভিষেক হয় ব্যালান্সের। আর অভিষেক টেস্টেই তুলে নেন দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি। ৩৩ বছর বয়সী এই ব্যাটার ইংল্যান্ডের জার্সি গায়েও নিজের নামে করেছেন চার সেঞ্চুরি।

বুলাওয়েতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম টেস্টের চতুর্থ দিনে দলের বিপর্যয়ে ১৩৭ রানের অপরাজিত এক ইনিংস খেলেন ব্যালান্স। আর তাতেই জায়গা করে নেন দক্ষিন আফ্রিকার কেপলার ওয়েসেলসের পাশে। প্রায় দেড়শো বছরের টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে তিনি হয়ে যান দ্বিতীয় ব্যক্তি।

বর্ণবাদী অবস্থানের কারণে যখন দক্ষিণ আফ্রিকা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিষিদ্ধ, তখন প্রোটিয়া প্রতিভা কেপলার ওয়েসেলস খেলতে নামেন অস্ট্রেলিয়ার হয়ে। ১৯৮২ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অভিষেকেই সেঞ্চুরি হাঁকান তিনি। ২৪ টেস্ট আর ৪ সেঞ্চুরির পর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ঘটে তার। ১৯৯১ সালে নিষেধাজ্ঞা উঠে গেলে ওয়েসেলস আবির্ভূত হন দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক হিসেবে। দ্বিতীয় টেস্টেই পেয়ে যান সেঞ্চুরির দেখা। এর প্রায় তিন দশক পর একই কীর্তি গড়লেন ব্যালান্স।

জিম্বাবুয়েতে জন্ম নেয়া গ্যারি ব্যালান্স যুক্তরাজ্যে পাড়ি জমান ১৭ বছর বয়সে। ইংল্যান্ডের হয়ে ২০১৪ সালে সাদা পোশাকে অভিষেক হয় তার। দ্বিতীয় টেস্টেই পেয়ে যান সেঞ্চুরির দেখা। এক বছরে মধ্যে আরও তিনবার হাঁকিয়েছেন শতক। হাজার রানের মাইলফলক পেরিয়েছেন মাত্র ১০ টেস্ট খেলেই। এরপর শুরু হয় রান খরা। ২০১৭ সালের পর আর জাতীয় দলে জায়গা হয়নি ব্যালান্সের।

২০২১ সালে কাউন্টি ক্রিকেটে সতীর্থ আজিম রফিকের সাথে বর্ণবাদী আচরণের অভিযোগ ওঠার পর ক্ষমা চান গ্যারি ব্যালান্স। সেই সময়ই সিদ্ধান্ত নেন মাতৃভূমিতে ফেরার। বুলাওয়েতে আরও একটা কীর্তি গড়েছেন ব্যালান্স। জিম্বাবুয়ের হয়ে অভিষেকে সেঞ্চুরি করা ৩য় ক্রিকেটার এখন তিনি। এর আগে জিম্বাবুয়ের প্রথম টেস্টে সেঞ্চুরি করেছিলেন ডেভ হটন। আর ২০০১ সালে হ্যামিল্টন মাসাকাদজা ডেব্যুতে গড়েছিলেন সবচেয়ে কম বয়সে সেঞ্চুরির রেকর্ড।

/এম ই


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply