অমর একুশে বইমেলা: তাড়াহুড়ো না করে জ্ঞানচর্চা বাড়ানোর পরামর্শ নতুন লেখকদের প্রতি

|

লেখক-পাঠকদের পরামর্শ দিয়েছেন বিশিষ্ট লেখক- শিক্ষাবিদ ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল।

ফারহানা ন্যান্সি:

পাঠকের উপস্থিতিতে প্রতিদিনই প্রাণবন্ত হয়ে উঠছে অমর একুশে বইমেলা। নতুন লেখকদের নতুন নতুন বইয়ের দেখা মিলছে প্রতিদিনই। নতুন বইয়ের ভিড়ে মানসম্পন্ন বই খুঁজে পেতে পাঠকের বেগ পেতে হয় বরাবরই। এছাড়া কয়টা বই পাঠক মনে রেখেছে অথবা কয়জন নতুন লেখককে পাঠক আবার খুঁজেছে, এ প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।

বইমেলাকে ঘিরে নতুন লেখকদের খুব তাড়াহুড়ো করে বই প্রকাশ না করে জ্ঞানের চর্চা বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল। তিনি মনে করেন, নতুন লেখকদের জানার পরিধিটা আরও বাড়াতে হবে। সময় নিয়ে নিজেদের লেখালেখি চর্চা করার পরামর্শ তার।

মুহাম্মদ জাফর ইকবাল আরও বলেন, যারা নতুন লেখক তারা মনে করেন, একটা বই ছাঁপানো খুবই গুরুত্বপুর্ণ। আর এমন অনেক প্রকাশকও আছেন, যাদের টাকা দিলেই তারা বই ছাঁপিয়ে দেন। এতে নতুন লেখকরা অনেকেই আনন্দ পান বটে। কিন্তু তাতে আসলে লেখক-পাঠক কারোরই কোনো লাভ হয় না।

নতুন প্রজন্মের পাঠকদের জন্যও আলোকবার্তা দিয়েছেন তিনি। জাফর ইকবাল বললেন, পৃথিবীর মানুষকে আমি দুইভাগে ভাগ করি। এক ভাগ বই পড়ে, আরেক ভাগ বই পড়ে না। যারা বই পড়ে তারাই পৃথিবী, সমাজ ও দেশকে চালায়। আর যারা পড়ে না, তারা হয়তো শুধু কোনোভাবে নিজেকেই চালায়। আমি মনে করি না যে ওদের জীবনে সফিসটিকেটেড কোনো আনন্দ আছে। খুবই স্থুল আনন্দ নিয়ে ওদের জীবন কাটাতে হয়।

গত বইমেলায় নতুন বই এসেছিল প্রায় সাড়ে ৪ হাজারের বেশি। এবারও সংখ্যাটা এমন হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। কিন্তু পাঠকদের আক্ষেপ, এতো এতো নতুন বইয়ের ভীড়ে তারা মানসম্পন্ন বইটি কী করে খুঁজে পাবেন? অনেকের মতে, মানসম্পন্ন নতুন বইয়ের সন্ধানে বাংলা একাডেমির তরফ থেকে যদি কোনো উদ্যোগ নেয়া হতো, তাহলে পাঠক উপকৃত হতো।

/এসএইচ/এমএন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply