তুরস্ক-সিরিয়ায় ত্রাণ সরবরাহ নিশ্চিতে কাজ করছে জাতিসংঘসহ ৭০টি দেশের স্বেচ্ছাসেবী দল

|

বিবিসি থেকে নেয়া ছবি।

ভূমিকম্প বিধ্বস্ত তুরস্ক-সিরিয়ার সহযোগিতায় বৈরিতা ভুলে এগিয়ে গেছে গোটা বিশ্ব। বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) জরুরি ত্রাণ সহায়তা নিয়ে দুর্যোগপূর্ণ এলাকায় পৌঁছাবে জাতিসংঘ এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি দল। এরইমধ্যে, ডব্লিউএইচও’র তত্ত্বাবধানে কাজ করছে অন্তত ৪৫টি মেডিকেল টিম। ভূমধ্যসাগরে প্রস্তুত রয়েছে মার্কিন পণ্যবাহী জাহাজও। খবর বিবিসির।

সিরিয়া ও তুরস্কের ভূমিকম্প বিধ্বস্ত এলাকাগুলোয় এরইমধ্যে কাজ করছে ৭০ দেশের স্বেচ্ছাসেবী দল। ধ্বংসাবশেষ থেকে উদ্ধার করছে হতাহতদের। এমনকি, শত্রুতা ভুলে পাশে দাঁড়িয়েছে ইসরায়েলও। ক্ষয়ক্ষতি পরিমাণ বিপুল হওয়ায়, সামলানো যাচ্ছে না পরিস্থিতি। প্রয়োজন আরও ভারী উদ্ধার ও চিকিৎসা সরঞ্জাম। কিন্তু, ভূমিকম্পে পুরোপুরি বন্ধ যোগাযোগের অন্যতম পথ ‘বাব আল হাওয়া’ ক্রসিং। এ পথেই, সিরিয়া-তুরস্কের মধ্যে সরবরাহ হতো সহায়তা। বিকল্প রুটের মাধ্যমেই তহবিল-ত্রাণ পাঠাচ্ছে জাতিসংঘ-ডব্লিউএইচও’র মতো আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো।

জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা বিষয়ক সমন্বয়ক মুহান্দ হাদি বলেন, গাজিয়ানটেপ থেকে সীমান্তের রাস্তাটি পুরোপুরি ভেঙ্গে পরেছে ভূমিকম্পে। সে কারণেই জাতিসংঘের পণ্যবাহী ট্রাক পাঠানো যাচ্ছে না। তবে, বিকল্প একটি রুটের সন্ধান পাওয়া গেছে। আশা করছি, খুব শীঘ্রই মানুষের হাতে পৌঁছাবে জরুরি ত্রাণ।

আর ডব্লিউএইচও’র মহাপরিচালক তেদ্রোস আধানম জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার থেকে তুরস্কে ঢুকবে মানবিক সহায়তা। এ পর্যন্ত দুর্যোগ কবলিত দেশগুলোর জন্য ৩০ লাখ ডলারের তহবিল পাশ করিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। বিশেষ চিকিৎসক দল, জরুরি ঔষধ-অস্ত্রোপচার সরঞ্জাম দিবো আমরা। এরইমধ্যে, ইস্তাম্বুলের পৌঁছেছে একটি ফ্লাইট। দামেস্কে আরও দুটি ফ্লাইট যাচ্ছে। তাছাড়া, ৩০টি জাতীয় এবং ১৩টি আন্তর্জাতিক মেডিকেল টিম কাজ করছেন দুই দেশে।

তবে, সিরিয়া ও তুরস্কে কর্মরত উদ্ধারকর্মীরা বারবারই বলছেন, সহসা শেষ হবে না এ উদ্ধার অভিযান।

এদিকে, দীর্ঘমেয়াদী সহযোগিতার জন্য প্রস্তুত রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তারা জানিয়েছে, বিমানপথে তো ত্রাণ সরঞ্জাম যাচ্ছেই, প্রয়োজনে সমুদ্রপথেও সহায়তা পাঠানো হবে।

পেন্টাগন মুখপাত্র ব্রি. জে. প্যাট রাইডার বলেন, ইনক্রিলিক বিমান ঘাঁটি ব্যবহার করছে যুক্তরাষ্ট্রের রোটারি উইং। সবচেয়ে বেশি যাদের সহযোগিতা প্রয়োজন, তারা অগ্রাধিকার পাচ্ছেন। মূলত, ডোভার ও মার্চ এয়ারফোর্স থেকেই ত্রাণ এবং জরুরি সরঞ্জাম নিয়ে উড়ে যাচ্ছে মার্কিন স্বেচ্ছাসেবী দল। তুরস্ক আরও সহযোগিতা চাইলে, ভূমধ্যসাগরে প্রস্তুত ইউএসএস জর্জ এইচ ডব্লিও বুশ জাহাজ।

প্রসঙ্গত, জাতিসংঘ প্রথম থেকেই স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে- যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ায় এনজিওর মাধ্যমে ত্রাণ বণ্টন করা হবে। নতুবা, ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাটিতে আন্তর্জাতিক সহায়তা নিতে লুটপাট চালাবে সেখানকার বিদ্রোহীগোষ্ঠীগুলো।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply