নিয়মরক্ষার শেষ ম্যাচে খুলনাকে ১৭০ রানের লক্ষ্য দিয়েছে বরিশাল

|

ছবি: সংগৃহীত

লিগ পর্বের শেষ ম্যাচে খুলনা টাইগার্সকে ১৭০ রানের লক্ষ্য দিয়েছে ফরচুন বরিশাল। প্রিটোরিয়াস-জাদরানের ঝড়ে ৮ উইকেটে ১৬৯ রান করেছে সাকিবের দল।

টস জিতে ব্যাট করতে নেমে বেশ কিছু পরিবর্তন আনে বরিশাল। যেখানে ইনিংস ওপেন করতে আনামুল বিজয়ের সাথে ক্রিজে আসেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। অবশ্য খুব বেশি সময় টিকতে পারেননি তিনি। ৯ বলে ৯ রান করে নাসুমের শিকার হন রিয়াদ।

দলীয় ৪২ রানে আবারও আঘাত হানেন নাসুম। এবার ১৪ রান করা চাতুরাঙ্গা ডি সিলভাকে ফেরান এই স্পিনার। ৩য় উইকেটে আনামুল বিজয়ের সাথে জুটি গড়েন সাকিব আল হাসান। এই ম্যাচে ২৫ রান করলেই গ্রুপ পর্বেই আসরের সর্বোচ্চ রানের জায়গাটা দখল করে নেবার সুযোগ ছিল তার সামনে।

শুরুটাও সেভাবেই করেছিলেন সাকিব। নাসির-শান্তকে টপকে তৌহিদ হৃদয়ের অনেকটা কাছে চলেও এসেছিলেন। কিন্তু মাত্র ২২ রানে হাসান মুরাদের বলে নাসুমের হাতে ধরা পড়লে ছোঁয়া হয়নি হৃদয়ের ৩৭৮ রান। গ্রুপ পর্বে ৩৭৫ রান নিয়ে দুইয়ে থেকেই সন্তুষ্ট থাকতে হলো দেশসেরা এই অলরাউন্ডারকে।

এক বল পর আনামুল বিজয়ও নাসুমের বলে হাসান মুরাদের হাতে তালুবন্দী হলে ৭৭ রানে ৪র্থ উইকেট হারিয়ে বসে ফরচুন বরিশাল।

এরপর শুরু হয় প্রিটোরিয়াস আর ইব্রাহিম জাদরানের ঝড়। ৫ম উইকেটে ৩৭ বলে ৭০ রান যোগ করে দলকে লড়াই করার মত পুঁজি এনে দেন এই দুই ব্যাটার। ১৫ বলে ২১ রান করে ইব্রাহিম জাদরান যখন আউট হন তখন দলের রান ১৪৭। অপরপ্রান্তে থাকা প্রিটোরিয়াস এবারের আসরে প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেই দেখিয়েছেন নিজের পেশিশক্তি। তবে আক্ষেপ থেকে গেলো অর্ধশত না পাওয়ায়। ৪টি ছয় আর ২টি চারের মারে ২৯ বলে ৪৮ রান করে সাইফউদ্দিনের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন তিনি।

পরের বলে মেহেদী মিরাজকেও বোল্ড করে ফেরান এই পেসার। আর ইনিংসের শেষ বলে কারিম জানাতকে ফিরিয়ে নিজের ৪র্থ উইকেট তুলে নেন সাইফউদ্দিন। অবশ্য এর আগে ৯ বলে ১৮ রানের ছোট্ট একটি ক্যামিও ইনিংস খেলেছেন কারিম জানাত। শেষ পর্যন্ত ৮ উইকেটে ১৬৯ রানে থামে ফরচুন বরিশালের ইনিংস।

সাইফউদ্দিনের ৪ উইকেট ছাড়াও খুলনা টাইগার্সের হয়ে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন নাসুম আর হাসান মুরাদ।

/এ এইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply