তুরস্কে শরণার্থীদের মাথা গোঁজার শেষ জায়গাটিও কেড়ে নিলো ভূমিকম্প

|

ছবি: সংগৃহীত

গৃহযুদ্ধের কারণে প্রাণের তাগিদেই নিজ দেশ ছেড়ে তুরস্কে আশ্রয় নিয়েছিলেন সিরিয়ার শরণার্থীরা। কিন্তু গত সোমবারের ভূমিকম্পে এ শরণার্থীরা হারিয়েছেন তাদের মাথা গোঁজার শেষ জায়গাটুকুও। পরিবারের সদস্যদের নিয়ে এসব অসহায় মানুষের মাথার উপরে এখন শুধুই খোলা আকাশ। খবর আল জাজিরার।

গৃহযুদ্ধের কারণে প্রায় ১০ বছর ধরে তুরস্কের গাজিয়ান্তেপে শরণার্থী হিসেবে ছিলেন সিরিয়ার নাগরিক রাবি আল ফাহাদ। শরণার্থী শিবিরের তাঁবুই ছিল তার ঠিকানা। ভূমিকম্পে সেটিও মিশে গেছে মাটিতে। তাই কুড়িয়ে পাওয়া কাঠের টুকরা আর চট দিয়ে কোনো রকমে মাথা গোঁজার চেষ্টা।

রাবি আল ফাহাদ বললেন, কি করবো? কোনো সাহায্যই পাইনি। খাবার কিংবা ত্রাণ নিয়ে কোনো গাড়ি আসলেও একসাথে হাজার হাজার মানুষ ছুটে যাচ্ছে সেখানে। তাই হাতের কাছে যা পেয়েছি, তাই দিয়েই মাথা গোঁজার জায়গা তৈরি করছি।

দুর্দশার একই চিত্র আলিয়া শামার ক্ষেত্রেও। কাহরামানমারাসে একটি বাড়িতে পরিবারের আট সদস্যকে নিয়ে থাকতেন সিরিয়ার এ নারী। ভূমিকম্পে ধ্বংস হয়ে যাবার পর এখন একটি গাড়িতেই থাকছে শরণার্থী পরিবারটি।

দেশটির শরণার্থী আলিয়া শামা বলেন, সিরিয়ায় নিজের বাড়িতে শান্তিতেই ছিলাম। কিন্তু যুদ্ধের কারণে লেবাননে আশ্রয় নেই। সেখান থেকে আসি তুরস্কে। এখন এখানেও আমার শেষ আশ্রয়টা ধ্বংস হয়ে গেছে। জানি না কি করবো এরপর।

একে তো নেই মাথা গোঁজার ঠাঁই, তার ওপর এখনও পৌছায়নি জরুরি সাহায্যসামগ্রী। ফলে ক্ষুব্ধ আর হতাশ এসব শরণার্থী। তুরস্কে বর্তমানে ৩৫ লাখ সিরীয় শরণার্থী রয়েছেন। এরমধ্যে শুধু ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকাগুলোতেই বসবাস করেন ১৭ লাখ শরণার্থী।

/এসএইচ/এমএন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply