সাম্প্রতিক মাসগুলোয় আর্জেন্টিনা প্রবেশ করেছে ৫ হাজারের বেশি রুশ অন্তঃসত্ত্বা নারী। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে কেবল একটি ফ্লাইটেই লাতিন আমেরিকার দেশটিতে গেছে এমন ৩৩ জন। বিবিসির খবর।
আর্জেন্টিনার ন্যাশনাল মাইগ্রেশন এজেন্সির তথ্য অনুসারে, দেশটিতে সবশেষ প্রবেশকৃত রুশ নারীদের অধিকাংশই তাদের গর্ভকালীন সময়ের শেষ দিকে রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, এই নারীরা চান তাদের শিশুর জন্ম আর্জেন্টিনায় হোক। যাতে করে লাতিন আমেরিকার দেশটির নাগরিকত্ব অর্জন করতে পারে এই শিশুরা। সাম্প্রতিক সময়ে অন্তঃসত্ত্বা রুশ নারীদের আর্জেন্টিনায় প্রবেশের হার বেড়ে যাওয়াকে ইউক্রেন যুদ্ধের ফলাফল হিসেবেই ধরা হচ্ছে।
আর্জেন্টাইন গণমাধ্যম লা ন্যাসিওনের কাছে দেশটির মাইগ্রেশন এজেন্সির হেড ফ্লোরেন্সিয়া ক্যারিনানো জানান, বৃহস্পতিবার দেশটিতে প্রবেশ করা ৩৩ নারীকে ‘তথ্যগত অসামঞ্জস্যতা’র অভিযোগে আটক করা হয়। কারণ, প্রথম দিকে রুশ নারীরা বলেছিলেন, তারা ভ্রমণের উদ্দেশে এসেছেন। কিন্তু পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর জানা যায়, তাদের আসার উদ্দেশ্য আদৌ ভ্রমণ নয়। বরং, রুশ নারীরা চান তাদের শিশুরা আর্জেন্টাইন নাগরিকত্ব পাক। কারণ, রুশ পাসপোর্টের চেয়ে আর্জেন্টাইন পাসপোর্টে ভ্রমণের ক্ষেত্রে বেশি সুবিধা পাওয়া যায়।
ফ্লোরেন্সিয়া ক্যারিনানো বলেন, সমস্যা হচ্ছে, তারা আর্জেন্টিনায় আসে। তাদের শিশুদের আর্জেন্টাইন হিসেবে লিপিবদ্ধ করে এবং, চলে যায়। বিশ্বজুড়ে আমাদের দেশের পাসপোর্টকে নিরাপদ বিবেচনা করা হয়। আর্জেন্টিনার পাসপোর্টধারী ব্যক্তি বিশ্বের ১৭১টি দেশে ভিসা ছাড়াই প্রবেশ করতে পারে। যেখানে রুশ পাসপোর্টধারী ব্যক্তি ভিসা ছাড়া প্রবেশ করতে পারে মাত্র ৮৭টি দেশে। আর ইউক্রেন যুদ্ধের পর পশ্চিমা দেশগুলোয় রুশদের প্রবেশ আরও সংকুচিত হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ধ্বংসস্তূপে ভাইকে আগলে রাখেন ৭ বছর বয়সী বোন; জিনান ও আব্দোর চিকিৎসা চলছে
/এম ই
Leave a reply