৭ দিন ধরে বাসার খাটের নিচে নারীর লাশ, এর মধ্যেই সবকিছু করতেন মা-বোন

|

ছবি: সংগৃহীত

ফরিদপুর প্রতিনিধি:

ফরিদপুর শহরের পশ্চিম খাবাসপুর মিয়াপাড়া এলাকার একটি বাসার খাটের নিচ থেকে ঝুমা আক্তার (৩৫) নামের এক নারীর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ফরিদপুর কোতয়ালী থানার পুলিশ মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।

ঝুমা আক্তার অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কনস্টেবল মৃত আব্দুল আহাদ তালুকদারের বড় মেয়ে। চার বোন ও এক ভাইয়ের মধ্যে তিনি বড়। আব্দুল আহাদ তালুকদারের চার চালা টিনের ঘরের একটি খাটের নিচ থেকে অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করা হয়। বাড়িতে মা ও দুই বোন থাকতেন। বাকি দুই বোনের বিয়ে হয়ে
গেছে। ছেলে পুলিশে চাকরি করেন।

রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকালে ঘর থেকে লাশের দুর্গন্ধ বের হলে এলাকাবাসী জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ এ ফোন করে খবর দেয়। পরে বেলা ১১টার দিকে ফরিদপুর কোতয়ালী থানার পুলিশ গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে।

কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ জলিল জানান, ঘরের ভিতর থেকে লাশের দুর্গন্ধ বের হলে স্থানীয়রা পুলিশকে খরব দেয়। অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কনস্টেবল মৃত আব্দুল আহাদ তালুকদারের চার চালা টিনের ঘরের একটি খাটের নিচ থেকে অর্ধগলিত অবস্থায় মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয়।

ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সুমন রঞ্জন সরকার বলেন, মৃতদেহটি আনুমানিক সাত দিনের পুরনো। গন্ধ বের হওয়ার পরও ঝুমার মা ও বোন ওই বাড়িতে বসবাস করতেন। তারা রান্না করতেন, খাবার খেতেন। পুলিশ যখন বাড়ির ওই কক্ষে ঢোকার চেষ্টা করে তখন ঝুমার মা তাদের বাধা দেয়ার চেষ্টা করেন।

সুমন রঞ্জন এলাকাবাসীর উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, মৃতের মা ও এক বোন অসামাজিক কাজে যুক্ত ছিলেন। এ ঘটনার প্রতিবাদ জানাতেন ঝুমা। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মৃত ঝুমার মা মনোয়ারা বেগম (৫৫) ও ছোট বোন সুমা আক্তারকে (২৭) আটক করা হয়। মৃত্যুর কারণ এখনো জানা যায়নি। মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। এ ব্যাপারে মৃতের ভাই বাদী হয়ে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

ইউএইচ/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply