ভূমিকম্পের ৮ দিন পর সিরিয়ায় ঢুকলো জাতিসংঘের ত্রাণ

|

ইউএনএইচসিআর এর ওয়েবসাইট থেকে নেয়া ছবি।

ভূমিকম্পের ৮ দিন পর সিরিয়ার দুর্গত এলাকায় ঢুকলো জাতিসংঘের ত্রাণবাহী ট্রাক। এরইমধ্যে, মৃত্যুপুরীতে পরিণত হওয়া দেশটির জন্য ৪০০ মিলিয়ন ডলারের তহবিল গঠনের ঘোষণা দিয়েছে জাতিসংঘ। জানিয়েছে- ৫০ লাখ মানুষের প্রয়োজন জরুরি সহায়তা। এদিকে, সমালোচনার মুখে ভবন নির্মাণ নীতিমালা সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দিলেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট। খবর এপির।

ভূমিকম্প নয়, বরং পরিকল্পিত উপায়ে ধসানো হচ্ছে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলো। তাই, উদ্ধারকাজের পাশাপাশি হঠাৎ-হঠাৎই ভেঙ্গে পরছে বহুতল স্থাপনা। ৮ দিন পেরিয়ে যাওয়ায়, উদ্ধারকাজেও পড়েছে ভাটা। এখন প্রাণের সন্ধানের বদলে ভগ্নস্তূপ সরানোর দিকেই বেশি মনোযোগী স্বেচ্ছাসেবীরা। পাশাপাশি, সামাল দিতে হচ্ছে স্বজন হারানোদের রাগ-ক্ষোভও।

এদিকে, একই কারণে তুরস্কে এরদোগান প্রশাসনের উদাসীনতা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। সমালোচনার মুখে প্রেসিডেন্ট নিজেই ঘোষণা দিলেন- ভবন নির্মাণ নীতিমালা সংস্কার ও কঠোর করার।

সাম্প্রতিক এক ঘোষণায় তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান বলেন, পৃথিবীর অন্যান্য যেকোনো দেশের তুলনায় তুরস্ক ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখলো। নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা। চাই, আহতরা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন। উদ্ধারকারীরা প্রশংসনীয় ভূমিকা দল রাখছেন। তদন্তে বেরিয়ে এসেছে- ৯৮ শতাংশ ধসে পড়া ভবন ১৯৯৯ সালের আগে বানানো। সুতরাং, অবকাঠামো নীতিমালা সংস্কারের পাশাপাশি করতে হবে কঠোরও।

ভূমিকম্পের ৮ দিন পর, আব আল সালাম ও আল রাই ক্রসিং দিয়ে সিরিয়ায় ঢুকছে জাতিসংঘের ত্রাণবাহী ট্রাক। আসাদ সরকারের ইঙ্গিত, তিন মাসের জন্য খোলা থাকবে এই পথগুলো। সে সময়, অস্ত্রবিরতিও কার্যকর থাকবে। অবশ্য এ প্রসঙ্গে জাতিসংঘ বলছে, যুদ্ধ ও ভূমিকম্প বিধ্বস্ত দেশটির জন্য আরও বড় তহবিলের প্রয়োজন।

জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস বলেন, ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত সিরিয়ার জন্য জরুরি ভিত্তিতে ৪০০ মিলিয়ন ডলার তহবিল গঠনের আবেদন জানাচ্ছি। কিন্তু, এটা বড়জোর ৩ মাসের যোগান। কারণ, ৫০ লাখ সিরীয়র জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজন খাবার, আশ্রয় ও স্বাস্থ্যসেবা। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানার পর তুরস্কের জন্যও নির্ধারিত হবে বরাদ্দ। ভূমিকম্পের পর জরুরি তহবিল থেকে ৫০ মিলিয়ন ডলার দিয়েছে জাতিসংঘ। কিন্তু, চাহিদা আরও বেশি।

এদিকে উদ্ধারকর্মীরা বলছেন, জীবিতদের জন্য সবচেয়ে বড় সংকট আশ্রয়। কেননা, আন্তর্জাতিক সেবা সংগঠনগুলোর তরফ থেকে খাবারের নিশ্চয়তা পেলেও, তীব্র ঠাণ্ডায় খোলা আকাশের নীচে রাত কাটাচ্ছেন গৃহহীন তুর্কি-সিরিয়রা। তাদের সহযোগিতায় ১ হাজার পণ্যবাহী কন্টেইনার পাঠিয়েছে ন্যাটো। কিন্তু, এটা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply