বিপিএলে ৭ আসরে অংশ নিয়ে চারবারই চ্যাম্পিয়নের মুকুট মাথায় পরেছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। টিম ব্র্যান্ডিং থেকে শুরু করে পেশাদারিত্ব- সব মিলিয়ে সঠিক পরিকল্পনায় চালিত একটি পরিবার যেন। এটাকেই সাফল্যের চাবিকাঠি বলছেন দলটির মালিক নাফিসা কামাল।
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ, বিপিএলের যাত্রা শুরু ২০১২ সালে। তবে, বিপিএলে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের অংশগ্রহণের শুরু তার দুই আসর পর, ২০১৫’তে। সাত আসরে অংশগ্রহণ করে চারবারই চ্যাম্পিয়ন হয়েছে এই ফ্র্যাঞ্চাইজি। কুমিল্লা এখন শুধু একটি ফ্র্যাঞ্চাইজিই নয়; সময়ের সাথে যেন বিপিএলের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হয়ে উঠেছে নাফিসা কামালের দলটি।
কুমিল্লার এই সাফল্যের আসল রহস্যটা কী? অন্যান্য ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর সাথে কোন কোন পার্থক্য বিশেষ করে তুলেছে এই দলকে- এমন প্রশ্নের জবাবে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিক নাফিসা কামাল বলেন, আশা নয়, আসলে বিশ্বাস ছিল চ্যাম্পিয়ন হবো। কীভাবে চ্যাম্পিয়ন হতে হবে এটার পরিকল্পনা নিয়ে নতুন করে চিন্তা করেছিলাম। চ্যাম্পিয়ন হওয়া ছাড়া কোনো অপশনও ছিল না। কামব্যাকটা একটু কঠিন হয়ে যাচ্ছিল। কামব্যাক করার জন্য চট্টগ্রাম পর্বে দলের সঙ্গে যোগ দিই। পরিকল্পনা কীভাবে বদলাতে হবে, কীভাবে করলে লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবো আলোচনা করি।
প্রথম তিন ম্যাচ হেরে টানা ১১ জয়ে বিপিএলের রেকর্ড আগেই ভেঙেছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। পরের আসরে প্রথম ম্যাচটি জিতলেই ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক টি-টোয়েন্টি লিগগুলোতে টানা জয়ের রেকর্ডে যৌথভাবে দুইয়ে উঠে আসবে কুমিল্লা।
নাফিসা কামাল আরও বলেন, আমি অনেক বেশি পার্থক্য পাই এখনকার বিপিএলগুলোতে। আগে এতটা পেতাম না। এখন আমরা আরও এগিয়ে যাচ্ছি। আমরা ‘১৫ সাল থেকে এখানে আছি। এখানে আমাদের ধারাবাহিকতা গুরুত্বপূর্ণ। আমরা বিদেশি খেলোয়াড়দের সঙ্গে অনেক কাজ করি। অনেক কথা হয়েছে টাকা-পয়সা নিয়ে। শুধু টাকা থাকলেই যে বিদেশি খেলোয়াড় পাওয়া যাবে এমন কোনো কথা নেই। আগ্রহী বিদেশি খেলোয়াড়দের কাছ থেকে আমরা অনেক আগেই সাড়া পাই। অন্য দলগুলোর আগেই তাদের কল আসে।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স যে কাঠামো অনুসরণ করে বিপিএলে সফল, বিপিএলকে লাভজনক করতে প্রয়োজনে সেটা নিয়ে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সঙ্গেও বসতে চান বলে জানান নাফিসা কামাল।
/আরআইএম
Leave a reply