মানুষের মতোই আবেগপ্রবণ তিমি, গান গেয়ে করে যোগাযোগ

|

প্রতি বছরের ১৯ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব তিমি দিবস হিসেবে পালিত হয়। তিমির সৌন্দর্য্য, পরিবেশগত গুরুত্ব এবং পৃথিবীর প্রতি তিমির অবদান সম্পর্কে মানুষকে জানানোই এর মূল উদ্দেশ্য। শুধু যে আকার-আকৃতিতেই তিমি অন্যান্য প্রাণীর চেয়ে ভিন্ন তা নয়, এর আবেগ অনুভূতির ধরনও অন্যান্য জলজ প্রাণীর চেয়ে আলাদা। বলা হয়ে থাকে, মানুষ যেসব আবেগ অনুভব করতে পারে, তিমিরও প্রায় সব ধরনের আবেগ আছে। খবর ফ্রি প্রেস জার্নালের।

১৯৮০ সালে প্রথম হাওয়াইতে তিমি দিবস পালন শুরু হয়। মূলত, মাউই দ্বীপেকে ঘিরে ঘুরে বেড়ানো হাম্পব্যাক তিমির প্রতি সম্মান জানাতেই দিবসটি পালন করা হতো। তবে সাধারণ মানুষকে তিমি সম্পর্কে জানানো এবং এর বিলুপ্তি রোধ করার জন্য প্যাসিফিক হোয়েল ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা গ্রেগ কফম্যান দিনটিকে বিশ্ব তিমি দিবস হিসেবে প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেন। আর তারপর থেকেই প্রতি বছরের ১৯ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব তিমি দিবস হিসেবে পালিত হয়।

তিমি সাধারণ ২ ধরনের হয়ে থাকে। এক প্রজাতির তিমির কোনো দাঁত থাকে না। তাদের বলা হয় টুথলেস ওয়েল। অন্যদিকে বেলিন প্রজাতির তিমির টাকরার কাছে হাড়ের মতো অংশ এদের দাঁত হিসেবে ব্যবহৃত হয়। দাঁতের পরিবর্তে বেলিন তিমিদের মুখে তন্তুযুক্ত প্লেট থাকে। যা তাদের প্ল্যাঙ্কটন ক্রিল এবং ক্রাস্টেসিয়ানের মতো সামুদ্রিক প্রাণীগুলোকে ফিল্টার করতে সাহায্য করে।

তিমি অত্যন্ত বুদ্ধিমান একটি প্রাণী। জীব বিজ্ঞানীরা বিশ্বাস করেন, মানুষ যত প্রকারের আবেগ অনুভব করতে পারে, সেসব ধরনের আবেগই তিমির মধ্যে আছে। তিমিদের নিজেদের মধ্যে যোগাযোগের বিশেষ একটি ধরন আছে। তারা বিশেষ এক ধরনের শব্দ এমনকি গানের মাধ্যমে নিজেদের মধ্যে তথ্য আদান-প্রদান করে।

নীল তিমি হলো পৃথিবীর সবচেয়ে বড় প্রাণী। একেকটি নীল তিমির ওজন হয় ২০০ টন, যা ৩৩টি হাতির ওজনের সমান। লম্বায় এরা ৩০ মিটার বা প্রায় ১০০ ফুট পর্যন্ত হতে পারে। এক দিনে একটি নীল তিমি ৩ হাজার ৬০০ কেজি ছোট মাছ খেতে পারে।

তবে মানুষের অতিরিক্ত শিকারের কারণে আজ নীল তিমি পৃথিবী থেকে বিলুপ্তির পথে। তাদের রক্ষায় দরকার আরও জনসচেতনা আর কঠোর পদক্ষেপ।

এসজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply