কিয়েভে বাইডেনের সফর: পাল্টে যেতে পারে রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের চেহারা

|

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের আকস্মিক ইউক্রেন সফরকে নিয়ে আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে চলছে নানা হিসাব-নিকাশ। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, একদিকে যুদ্ধবিমানের মতো নতুন ধরনের সমরাস্ত্র পাবে কিয়েভ।

অন্যদিকে, রুশ বিরোধী লড়াইয়ে সামনে নেতৃত্ব দেয়ার বিষয়টি স্পষ্ট করলেন জো বাইডেন। ফলে মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই সফর পুরো রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের চেহারা পাল্টে দিতে পারে। খবর রয়টার্সের।

এই সফরকে বিশ্লেষকদের কেউ কেউ তুলনা করছেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্কলিন রুজভেল্টের লন্ডন সফরের সাথে। মূলত পুতিনকে হুমকি দিতেই বাইডেনের এই সফর।

কাউন্সিল ফর ফরেন রিলেশনের প্রেসিডেন্ট রিচার্ড হাস বলেন, আসলে যুক্তরাষ্ট্র কী বার্তা দিতে চাইছে, এটা বুঝাটা জরুরি। শুরু থেকেই তো ইউক্রেনকে সহায়তা দিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। তা স্বত্ত্বেও মার্কিন প্রেসিডেন্ট যুদ্ধ চলমান ইউক্রেনে গেলেন এটাই দেখাতে, পেছন থেকে নয় বরং সামনে থেকে কিয়েভকে সহায়তা করছে পশ্চিমা শক্তি। এখন থেকে এই ইস্যুতে পশ্চিমের আর কোনো রাখঢাক থাকবে না। এটা সরাসরি পুতিনকে হুমকি।

এ অবস্থায় বিশ্লেষকরা বলছেন, যুদ্ধে আসবে স্পষ্টত পরিবর্তন। শুধুমাত্র নতুন ধরনের অস্ত্রই যে পাবে ইউক্রেন তা নয়, বরং রাশিয়ার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ যুদ্ধও নতুন দিকে মোড় নেবে।

সামরিক বিশ্লেষক সেডেরিক লেইটন বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই সফরের পর প্রতিরোধ যুদ্ধের পুরো কাঠামোই পাল্টে যাবে। বাইডেন এই সফরে স্পষ্ট ঘোষণা দিয়েছেন, সামরিক সহায়তার পরিধি বাড়ানোর। ফলে আধুনিক রণকৌশলের অন্যতম অংশ হলো ফাইটার জেট। ফলে শিগগিরই এফ-১৬ এর মতো যুদ্ধবিমান পৌঁছাবে ইউক্রেনের হাতে।

মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই সফর রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধকে আরও দীর্ঘায়িত করবে, এমন শঙ্কাও জানান বিশ্লেষকরা।

/এমএন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply