দ্বিতীয় বছরে ইউক্রেন যুদ্ধ, জয় পেতে মরিয়া জো বাইডেন

|

ছবি: সংগৃহীত

দ্বিতীয় বছরে গড়াচ্ছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। এ পরিস্থিতিতে আগ্রাসন-পাল্টাপাল্টি হামলা বন্ধের উদ্যোগ না নিয়ে বাগযুদ্ধে জড়াচ্ছে আর্ন্তজাতিক মহল। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের স্পষ্ট বার্তা, ইউক্রেনে কখনই জয়লাভ করতে পারবে না রাশিয়া। শীঘ্রই দেশটির ওপর পড়বে নতুন নিষেধাজ্ঞার খড়গ। অন্যদিকে, কৌশলগত অস্ত্রচুক্তি, স্টার্টে রাশিয়ার অংশগ্রহণের ওপর স্থগিতাদেশ দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তার হুমকি, ওয়াশিংটন পরমাণু অস্ত্রের পরীক্ষা চালালে, চুপ থাকবে না মস্কো। খবর সিএনএনের।

আর মাত্র দু’দিন পরই দ্বিতীয় বছরে গড়াবে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। আগ্রাসন-অভিযান বন্ধে বিন্দুমাত্র উদ্যোগ নেই আন্তর্জাতিক মহলের। উল্টো, জেলেনস্কি প্রশাসনকে একের পর এক সামরিক সহযোগিতা পাঠিয়ে আগুনে ঘি ঢালছে পশ্চিমারা।

একবছর পূর্ণের আগে রাজনৈতিক অঙ্গনেও দেখা দিয়েছে ব্যস্ততা। জো বাইডেনের নাটকীয় কিয়েভ সফর যখন আলোচনার তুঙ্গে। সে সময়ই কথার বিস্ফোরণ ঘটালেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। পোল্যান্ডের বিশাল জনসমাবেশে ইঙ্গিত দিলেন, স্বৈরশাসনের পতন অনিবার্য।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, জনগণের দেশপ্রেমের সামনে একজন স্বৈরশাসক কখনই টিকতে পারে না। বর্বরতা চালিয়ে স্বাধীনতার দাবিকে পিষে ফেলা কষ্টকর। ইউক্রেনে রাশিয়া কখনই জয় পাবে না। তারা মানবতা বিরোধী অপরাধ করেছে। ইউরোপ বা যুক্তরাষ্ট্র কখনোই রাশিয়া ধ্বংস বা দখল করতে চায়নি। যুদ্ধের কোনো প্রয়োজন ছিলো না, এটি ইতিহাসের একটি কলঙ্কজনক অধ্যায়।

বাইডেনের স্পষ্ট হুমকি, রাশিয়াকে মোকাবেলায় প্রস্তুত আন্তর্জাতিক মহল। কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিকভাবে দেশটিকে কোনঠাসা করতে শীঘ্রই কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।

জো বাইডেন আরও বলেন, রাশিয়া চরম মূল্য চুকাচ্ছে। মার্কিন ইতিহাসের সর্বাধিক এবং সবচেয়ে কঠিন নিষেধাজ্ঞা বহাল রয়েছে দেশটির ওপর। আগামী সপ্তাহেই, মিত্র দেশগুলোর সাথে আলোচনার পর আরও কঠোর অবরোধ-নিষেধাজ্ঞা দেয়া হবে। মানবতাবিরোধী অপরাধ আর যুদ্ধাপরাধের সাথে জড়িতদের জবাবদিহিতার মুখোমুখি করতে চাই।

একইদিন, যুক্তরাষ্ট্রের সাথে কৌশলগত অস্ত্রচুক্তিতে রাশিয়ার ভূমিকা স্থগিতের ঘোষণা দিলেন প্রেসিডেন্ট পুতিন। তার স্পষ্ট হুমকি, পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত মস্কো।

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেন, রাশিয়ার পরাজয় পশ্চিমাদের একমাত্র লক্ষ্য। দখলে নিতে চায় আমাদের পারমাণবিক স্থাপনাগুলো। সে কারণেই, কৌশলগত প্রতিরোধ অস্ত্র চুক্তি বা স্টার্টে মস্কোর ভূমিকা স্থগিত করা হলো। আবারও বলছি, চুক্তি থেকে নাম প্রত্যাহার করা হয়নি। বরং, অংশগ্রহণ বন্ধ করা হলো। চলমান যুদ্ধ পরিস্থিতিতে, নিজস্ব পরমাণু অস্ত্রের সক্ষমতা যাচাই করতে চায় মার্কিন আইনপ্রণেতারা। রাশিয়াও প্রস্তুত রয়েছে। তবে, কখনই আগে পরীক্ষা চালাবো না আমরা।

এদিকে, মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারি) চলমান যুদ্ধে বেসামরিক হতাহতের নতুন তথ্য প্রকাশ করেছে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক দফতর। তারা জানিয়েছে, রুশ আগ্রাসন শুরুর পর থেকে ৮ হাজার ৬ জন ইউক্রেনীয় প্রাণ হারিয়েছেন। আর, বিভিন্নভাবে আহতের সংখ্যা ১৩ হাজারের বেশি। তাদের বিবৃতি অনুযায়ী, গত কয়েক মাসে বেসামরিকদের ওপর হামলা বাড়িয়েছে রাশিয়া।

/এসএইচ



সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply