মালয়েশিয়া থেকে কর্মী ফেরত ইস্যু: খতিয়ে দেখছে মন্ত্রণালয়

|

মালয়েশিয়ার বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশি কর্মী ফেরত পাঠানোর ঘটনা খতিয়ে দেখছে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়। এ ঘটনায় রিক্রুটিং এজেন্সির দায় থাকলে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন মন্ত্রী ইমরান আহমদ। জনশক্তি রফতানিকারকরা বলছেন, চাহিদাপত্র থাকলে কর্মী না নেয়ার কোনো কারণ থাকতে পারে না। এতে অভিবাসন খাতের সুনাম ক্ষুণ্ণ হয়েছে।

কাজের জন্য গত ১৬ ফেব্রুয়ারি মালয়েশিয়ার উদ্দেশে ঢাকা ছাড়ে ২৯ বাংলাদেশি কর্মী। এদের মধ্যে ১০ জন দেশটিতে প্রবেশের অনুমতি পেলেও ২ দিন পর বাকিদের বিমানবন্দর থেকেই ফেরত পাঠানো হয় ঢাকায়। এসব কর্মীদের মালয়েশিয়া পাঠিয়েছিল গ্রিনল্যান্ড ওভারসিস। কোম্পানিটির দাবি, সব নিয়ম মেনেই কর্মী পাঠানো হয়েছে। তবে সার্ভার জটিলতায় ১৯ জনের নাম পাওয়া যায়নি অনলাইনে।

গ্রিনল্যান্ড ওভারসিসের রিক্রুট্মেন্ট পরিচালক মজিজুর রহমান বলেন, চাহিদাপত্রের ভিত্তিতে কর্মী নির্বাচন করে আমরা কাগজপত্র পাঠাই। যারা চাহিদাপত্র পাঠায়, তারাই কলিং ভিসা তৈরি করে। আমরা যদি চাহিদাপত্রের অতিরিক্ত বা চাহিদাপত্রে উল্লিখিত লোক না পাঠিয়ে অন্য লোকদের পাঠাতাম, তবে তো ওরা কলিং ভিসা দিতো না। কলিং ভিসা হওয়ার পর এখানকার মালয়েশিয়ান এমব্যাসি থেকে ই-ভিসা পেয়ে সরকার থেকে ক্লিয়ারেন্স নিয়েই ভ্রমণ করেছে। তারা বৈধভাবেই গিয়েছে। সার্ভার জটিলতার জন্য যে ঘটনা ঘটেছে তাতে আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত। এর দায়দায়িত্ব আমাদের। আমরা তাদের আবার পাঠানোর ব্যবস্থা করছি।

জনশক্তি রফতানিকারকরা বলছেন, কর্মী ফেরত পাঠানোর ঘটনা নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে অভিবাসন প্রক্রিয়ায়। কর্মীদের গ্রহণ করা কিংবা কাজ না পাওয়া দুঃখজনক। বায়রা’র যুগ্ম মহাসচিব এম টিপু সুলতান বলেন, ওখানে গিয়ে কর্মী কাজ পাচ্ছে না বা, কর্মীকে গ্রহণ করা হচ্ছে; তারা ফেরত চলে আসছে- এতে কিন্তু পুরো সেক্টরের উপরেই প্রভাব পড়েছে। গুরুত্ব দিয়ে আমাদের মন্ত্রণালয়ের একটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা উচিত। এর সাথে প্রকৃতপক্ষে কে বা কারা দায়ী তা চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া উচিত।

প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী ইমরান আহমদ জানিয়েছেন, কর্মী ফেরত আসার কারণ জানাতে বলা হয়েছে রিক্রুটিং এজেন্সিকে। পাশাপাশি বিএমইটি এবং মন্ত্রণালয়ও তদন্ত করছে। এ ক্ষেত্রে কোনো অনিয়ম থাকলে কোম্পানির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।

প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী বলেন, ওদের চাহিদা বোধহয় ছিল ২৯ জনের। ১০ জনকে ওরা নিয়েছে। বাকিদের নেয়নি। কেন নেয়নি সেটাই খুঁজে বের করতে হবে। আমরা তাদের অবৈধ বা নিম্নমানের কর্মী পাঠিয়েছি কিনা, তা দেখতে হবে। তারা চেয়েছে ইঞ্জিনিয়ার, আমরা দিয়েছি শ্রমিক- এমন ঘটনা যদি ঘটে থাকে সেটাও জানতে পারবো। আমরা এ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমেই দায়মুক্তি ঘটাতে হবে।

বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশি কর্মী ফেরত পাঠানোর পাশাপাশি গ্রিনল্যান্ড ওভারসিসের পাঠানো কিছু কর্মীর মালয়েশিয়া যেয়ে কাজ না পাওয়ার অভিযোগও উঠেছে।

/এম ই


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply