গাইবান্ধায় বস্তাভর্তি সরকারি বই বিক্রির সময় জনতার হাতে ধরা

|

গাইবান্ধা প্রতিনিধি:

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে ভাঙরির দোকানে বিক্রি সময় মাধ্যমিকের বস্তাভর্তি সরকারি বই আটক করেছে স্থানীয় জনতা। একপর্যায়ে বই বিক্রির ঘটনায় জড়িত হরিরামপুর বালিকা বিদ্যালয়ের নৈশপ্রহরী উত্তম কুমার ও জুনিয়র শিক্ষক চামেলি বেগমকে অবরুদ্ধ করে রাখে উত্তেজিত জনতা।

রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টার দিকে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার হরিরামপুর বাজারের শাহজাহান শেষের ভাঙরির দোকানে এ ঘটনা ঘটে। পরে ইউপি সদস্য ফিরোজ কবির ঘটনাস্থল এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন।

স্থানীয়রা জানায়, রোববার সন্ধ্যার পর হরিরামপুর বালিকা বিদ্যালয়ের নৈশপ্রহরী উত্তম কুমার ও জুনিয়র শিক্ষিকা চামেলি বেগম বস্তাভর্তি বিভিন্ন শ্রেণির সরকারি বই নিয়ে আসেন শাহজাহান শেখের ভাঙরির দোকানে। বইগুলো ওজন করার সময় স্থানীয় লোকজন টের পেয়ে উত্তেজিত হয়ে উঠেন। একপর্যায়ে তারা অভিযুক্ত উত্তম কুমার ও চামেলি বেগমকে অবরুদ্ধ করে ইউপি সদস্যকে খবর দেয়। এরপর ইউপি সদস্য ফিরোজ কবির এসে তাদের আটকের বিষয়টি শিক্ষা কর্মকর্তাকে জানিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ইউপি সদস্য ফিরোজ কবির বলেন, বস্তাভর্তি ৪২৭ পিস সরকারী বইগুলো ষষ্ঠ থেকে বিভিন্ন শ্রেণির। বইগুলো বিক্রির সময় আটক করেন স্থানীয়রা। বই বিক্রির সঙ্গে জড়িত দুইজনের বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের অবগত করা হয়ে। তবে তিনি ব্যবস্থা না নিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক চামেলি বেগমকে বইগুলো স্কুলে ফেরত নিয়ে যাওয়ার কথা বলেই দায় সারেন। এতে বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে স্থানীয়দের মাঝে।

তবে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোছা. রোকসানা বেগম মুঠফোনে জানান, বই বিক্রির ঘটনা সত্য হলে তদন্ত সাপেক্ষে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এরআগে, সুন্দরগঞ্জে বই চুরির ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। তেমনি গোবিন্দগঞ্জের ঘটনাতেও কেউ ছাড় পাবেনা।

এদিকে তাৎক্ষণিক বই বিক্রির কথা স্বীকার করেছেন শিক্ষক চামেলি বেগম। তিনি বলেন, বিদ্যালয়ের গুদাম পরিষ্কার করে ২০২২ শিক্ষাবর্ষের নতুন বইগুলো বিক্রির জন্য দোকানে নিয়ে যাওয়া হয়। বই বিক্রির টাকায় বিদ্যুৎ বিল ও সাউন্ড বক্স মেরামত করা হবে।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply