বইমেলায় বিদায়ের সুর, বেড়েছে বিক্রি

|

বইমেলার দুয়ারে কড়া নাড়ছে বিদায় ঘণ্টা। সশরীরে পাঠকের উপস্থিতিতে না হলেও অনলাইনসহ ধীরে ধীরে সামগ্রিক বই বিক্রির হার বাড়ছে। প্রকাশকরা বলছেন, আগামীতে প্রকাশনী ব্যবসাতেও নতুনত্ব প্রয়োজন।

আর নবীন লেখক ও প্রকাশকরা বলছেন, নতুন বলেই মুখোমুখি হতে হয় নানা প্রতিবন্ধকতার। কখনো ভালো লেখকের সাড়া পান না নতুন প্রকাশকরা। কখনো প্রচারের অভাবে নবীন লেখকের ভালো লেখা পৌঁছায় না পাঠকের কাছে।

প্রকাশকদের প্রত্যাশা ছিল কোভিডের ধাক্কার পর এবার ভালো বিকিকিনি হবে। কিন্তু ক’দিন আগেও বিক্রি নিয়ে ছিল হতাশা। তবে মেলার শেষ দিকে এসে কমেছে সেই আক্ষেপ।

পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্সের প্রকাশক কামরুল হাসান শায়ক বলেন, ৩০-৩৩ শতাংশ বইয়ের বিক্রি বইমেলাতে কমে গিয়েছে। কারণ অনেকেই আজকাল অনলাইনে বই কিনছেন। এ বিষয়টি আমাদের সবাইকে মাথায় রাখতে হবে।

এখনও প্রতিদিন নতুন নতুন বই প্রকাশ পাচ্ছে। অসংখ্য বই যেমন প্রতিবছরই মেলায় আসে, ঠিক তেমনি অনেক নতুন প্রকাশনীরও দেখা মেলে। কিন্তু সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে সেইসব প্রকাশকদের মুখোমুখি হতে হয় নানা চ্যালেঞ্জের। সেসব অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়ে আসা প্রকাশকরা বলছেন, শুধু মেলাকেন্দ্রিক চিন্তা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।

প্রকাশনার জগতে অভিজ্ঞরা স্বাগত জানাচ্ছেন নবীনদের। বলছেন, মেধাবীরা লেখার বিষয় ও প্রকাশে বৈচিত্র্য আনতে পারলেই সফলতার মুখ দেখবেন।

প্রতিবছর মেলা ঘিরেই আলোচনায় থাকা লেখক ও প্রকাশকদের সারা বছরই পাঠকের কাছাকাছি থাকার সুযোগ করে নিতে হবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টারা।

/এটিএম


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply