ইউক্রেনের ৬ অঞ্চলের দখল নিয়ে চলছে তুমুল লড়াই

|

ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত ছবি।

ইউক্রেনের আরও ৬টি অঞ্চলের দখলকে কেন্দ্র করে চলছে তুমুল লড়াই। রাশিয়ার দাবি, পূর্বাঞ্চলীয় গোয়েন্দা সংস্থার কার্যালয় ধ্বংস করা হয়েছে। আর, জেলেনস্কি প্রশাসন জানিয়েছে, হাইমার্সের হামলায় ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত রুশবহর। এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ, বিশ্বকে ঝুঁকিতে ফেলতেই পরমাণু চুক্তি- স্টার্ট বাতিল করেছে পুতিন প্রশাসন। খবর রয়টার্সের।

হাইমার্স থেকে চলছে মুহুর্মুহু রকেট হামলা। লক্ষ্য রুশ বাহিনীর অবস্থান। বাখমুতের পর গত দু’দিন ধরে তুমুল লড়াই চলছে কুপিয়ানস্ক, লাইমেন, আভদিভকাসহ আরও বেশ কয়েকটি শহরে। দুই পক্ষেরই দাবি, অভিযান পাল্টা অভিযানে প্রাণ গেছে শতাধিক যোদ্ধার। রুশ বিমানঘাটিতে ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলার ছবিও প্রকাশ করা হয়। অন্যদিকে মস্কো বলছে, বিমান হামলায় শুধু ইউক্রেনীয় বাহিনীর ঘাঁটিই নয় ধ্বংস করা হয়েছে গোয়ান্দা সংস্থার পূর্বাঞ্চলীয় কার্যালয়ও।

এ প্রসঙ্গে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইগোর কোনাশেনকোভ বলেন, আমরা নতুন দুটি শহরে বিমান হামলা শুরু করেছি। এবার শুধু ইউক্রেনীয় বাহিনীর অবস্থান কিংবা ঘাঁটিই শুধু নয়, আমাদের লক্ষ্য ছিলো কিয়েভে অবস্থিত ইউক্রেনীয় গোয়েন্দা সংস্থার কার্যালয়। এর পাশাপাশি একাধিক আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও ধ্বংস হয়েছে।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলদেমির জেলেনস্কি বলেন, সময় যতোই গড়াচ্ছে লড়াই ততোই জোরদার হচ্ছে। আমরা চেষ্টা করছি পশ্চিমা মিত্রদের থেকে পাওয়া অস্ত্র নিয়ে প্রতিরোধ গড়তে। কিন্তু, বড় বাধা হয়ে দাড়িয়েছে আকাশ প্রতিরক্ষা। তাই আমাদের দ্রুত আরও যুদ্ধবিমান প্রয়োজন। ফাইটার জেট নিয়ে মিত্ররা যে ভুলের মধ্যে রয়েছেন তা থেকে বের হয়ে আসা উচিত।

এদিকে, পরমাণু অস্ত্র বিষয়ক ঝুঁকি ইস্যুতে জরুরি এক বৈঠকে বসে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় দেশগুলো। ওয়াশিংটনের অভিযোগ, বিশ্বকে ঝুঁকির মুখে ফেলতেই নিউ স্টার্ট চুক্তি থেকে বেরিয়ে গেছেন পুতিন।

এ প্রসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ ও আন্তর্জাতিক সুরক্ষা বিভাগের আন্ডার সেক্রেটারি বনি জেনকিন্স বলেন, রাশিয়ার মূল লক্ষ্য হলো বিশ্বকে ঝুঁকির মুখে ফেলা। এ কারণেই পরমাণু চুক্তি থেকে বেরিয়ে গেছেন প্রেসিডেন্ট পুতিন। তার এ হঠকারী সিদ্ধান্তের কারণে পুরো পৃথিবী এখন পারমাণবিক হামলার ঝুঁকিতে পড়েছে। এ অস্থিতিশীলতার জন্য মস্কোই দায়ী।

এর আগে ইউক্রেনে রাশিয়ার বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের নানা তথ্য প্রমাণ তুলে ধরা হয় জাতিসংঘে। মস্কোর বিরুদ্ধে গণহত্যাসহ বিভিন্ন অভিযোগও জানানো হয় অধিবেশনে।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply