আমি ফ্রান্সকে ভালোবাসি: মার্টিনেজ

|

ছবি: সংগৃহীত

কাতার বিশ্বকাপে ৩৬ বছর পর সোনালি ট্রফি জেতে আর্জেন্টিনা। এরপর নিজেদের ড্রেসিংরুমে ফরাসি সুপারস্টার কিলিয়ান এমবাপ্পেকে নিয়ে বিদ্রুপে মাতেন মার্টিনেজরা। শুধু তাই নয়, ট্রফি নিয়ে দেশে ফিরে ছাদখোলা বাসে অভ্যর্থনা গ্রহণের সময় এমবাপ্পের পুতুল নিয়ে এমিলিয়ানো বিদ্রূপ করেন বলেও অভিযোগ আছে। তবে, ফিফা দ্য বেস্ট অ্যাওয়ার্ড ২০২২’র রাতে বর্ষসেরা গোলরক্ষকের পুরস্কার পাওয়া এমিলিয়ানো বলেছেন, তিনি ফরাসিদের ভালোবাসেন। খবর গোল ডটকমের।

সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে প্যারিসে জমকালো অনুষ্ঠানে পূর্ণতা পায় এমিলিয়ানো মার্টিনেজের স্বপ্নযাত্রা। ফিফার বর্ষসেরা গোলরক্ষক ২০২২’র পুরস্কার জিতে নিয়েছেন মার্টিনেজ। রিয়াল মাদ্রিদের বেলজিয়ান গোলরক্ষক থিবো কোর্তোয়া ও সেভিয়ার মরোক্কান গোলরক্ষক ইয়াসিন বোনুকে পেছনে ফেলে এ পুরস্কার জিতে নিয়েছেন তিনি।

এমি মার্টিনেজকে নিয়ে সমালোচনা হলেও গোলবারে বিশ্বস্ততার প্রতীক হিসেবে আর্জেন্টিনা দলকে জিতিয়েছেন কোপা আমেরিকা, লা ফিনালিসিমা। এরপর আসে বিশ্বকাপ। অমরত্ব অর্জনের সেই ‘দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’ এ হয় এমির শ্রেষ্ঠত্বের প্রদর্শনী। অবিশ্বাস্য কিছু সেইভের সাথে মিলে যায় বুদ্ধিদীপ্ত গেম ম্যানশিপ। দুইটি পেনাল্টি শ্যুটআউটে এমির পারফরমেন্স যদি হয় অবিস্মরণীয়, লুসাইলে ফ্রান্সের বিপক্ষে ফাইনালের অন্তিম মুহূর্তে কোলো মুয়ানির শট রুখে দেয়ার দৃশ্যকে বলা যাবে রীতিমতো অবিশ্বাস্য!

তারকাখচিত সেই অনুষ্ঠানে সেরা গোলরক্ষক নির্বাচিত হওয়ার পর টিএমসিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এমিলিয়ানো বলেন, সত্যি কথা বলতে, এটা ছিল কেবলই একটি ফুটবল ম্যাচ। তাছাড়া, আমি ফ্রান্সকে ভালোবাসি। ছুটিতে অনেকবার এখানে এসেছি। সত্যিই আমি ফ্রান্সকে ভালোবাসি।

ফরাসি অনেক সতীর্থ ও কোচের সঙ্গে তার ভালো সম্পর্ক রয়েছে জানিয়ে এ গোলরক্ষক আরও বলেন, আমি অ্যাস্টন ভিলার দুই ফরাসি খেলোয়াড়ের সঙ্গে একটি রুম শেয়ার করেছি। আগেই বলেছি, আর্সেনালেও অনেক দুর্দান্ত খেলোয়াড় ছিল। আর্সেন ওয়েঙ্গার একজন কিংবদন্তি এবং তিনি এখন ফিফার হয়ে কাজ করেন। তাকে আবার দেখে ভালো লাগলো।

/আরআইএম


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply