রিমন রহমান:
কোনোভাবেই কাটছে না চিনির সংকট। দাম কমাতে সরকারের নানামুখী উদ্যোগ আছে। কিন্তু কাজ হচ্ছে না কিছুতেই। মূল্য নির্ধারণ করে দেয়া হলেও মানা হচ্ছে না সেই দাম। সবশেষে শুল্ক কমিয়ে দাম নিয়ন্ত্রণের কৌশল হাতে নিয়েছে সরকার।
খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, প্রায় তিন মাস ধরে বাজারে চিনির পর্যাপ্ত সরবরাহ নেই। উৎপাদক প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, কয়েকদিনের মধ্যেই শুল্ক কমানোর সুফল পাবে ক্রেতা। কিছুটা কমতে পারে দাম।
আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে দাম সমন্বয় করে গেলো জানুয়ারির শেষ দিকে মূল্য নির্ধারণ করে দেয় সরকার। ১ ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যকর হয়েছে সেই নতুন দাম। কিন্তু ওই দর মানছে না কেউ। বাজারে যদিও কোথাও চিনি মেলে, তা বেঁধে দেয়া দামের চেয়ে অন্তত ৫ থেকে ৬ টাকা বেশি দামে কিনতে হচ্ছে।
সামনে রোজা, তাই দাম নিয়ন্ত্রণে দুই ধরনের শুল্কে ছাড় দিয়েছে সরকার। আমদানি করা পরিশোধিত এবং অপরিশোধিত চিনির ক্ষেত্রে শুল্ক কমানোর পাশাপাশি কমানো হয়েছে নিয়ন্ত্রণ শুল্ক। টনপ্রতি চিনির দাম কমতে পারে ৬ থেকে ৯ হাজার টাকা। কিন্তু এখনও দাম কমার কোন লক্ষণ নেই।
দেশবন্ধু গ্রুপের চিফ অপারেটিং অফিসার ইদ্রিসুর রহমান বলেন, আমাদের তো আর অত মজুদ নেই। আর অন্যরাও যে মজুদ করে রাখছে, আর এখন বাজারে ছাড়বে তা নয়। ২-১ দিনের মধ্যে শুল্ক কমানোর প্রভাব দেখা যাবে।
শুল্ক কমানোর পর চিনির দাম কতো হতে পারে, তার হিসেব শুরু করেছে বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশন। রোজার আগেই বেঁধে দেয়া হতে পারে নতুন দাম।
/এমএন
Leave a reply