সরবরাহ ভালো হলেও উচ্চমূল্যে স্থির চালের মোকাম; ভোগান্তিতে সীমিত আয়ের ক্রেতারা

|

সাইফুল ইসলাম:

সিরিয়া আক্তার, পেশায় একজন পরিছন্ন কর্মী। দুই ছেলে ও স্বামী নিয়ে থাকেন রাজধানীর মোহাম্মদপুরে। দৈনিক আয় মাত্র ৩০০ টাকা। উচ্চমূল্যের বাজারে ভালো চাল না কিনতে পারায় সম্প্রতি রাজধানীর একটি বাজার থেকে ক্রয় করছিলেন কুড়িয়ে নেয়া ময়লা চাল। যার মূল্য কেজি প্রতি ৩০ টাকা।

তাকে প্রশ্ন করা হয়, এমন চাল কেন কিনছেন? জবাব বলেন, আমাদের অভাবের সংসার। অত দামি চাল কিনতে পারি না। তাই এসব চাল কেনা।

কেবল সিরিয়া আক্তার নন, নিম্ন আয়ের অনেকে দোকানে পড়ে থাকা ময়লা চাল কিনছেন। মূলত, চালের চড়া দামে ভোগান্তিতে পড়েছেন সীমিত আয়ের মানুষ। পাইকারদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, উচ্চ মূল্যে স্থির চালের দর, যা রমজানে আর বাড়াবে না।

এদিকে, রাজধানীর খুচরা বাজারে ৪৮ টাকার নিচে চাল নেই। ৫৫ টাকায় স্থির রয়েছে মোটা জাতের চালের দর। অন্তত ৭০ টাকা গুনতে হবে মিনিকেটের জন্য। আরেকটু সরু নাজিরশাইলের কেজি ৮০ টাকা। সব চেয়ে বেশি দাম বেড়েছে চিনিগুড়া চালের, যা বিক্রি হচ্ছে সর্বোচ্চ ১৫০ টাকা।

স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত ও আমদানি করা চলের সংকট নেই। তবুও কেন দাম বাড়ছে, এই প্রশ্নের জবাব খুঁজছেন ক্রেতারা। তারা বলছেন, বাজারে শক্ত তদারকি প্রয়োজন।

পাইকাররা বলছেন, উচ্চ মূল্যেই বিক্রি হচ্ছে চাল। মিলারদের দরের সাথে সমন্বয় করে বিক্রি করছেন তারা। রমজানের আগে আর দাম বৃদ্ধি হবেনা বলে আশা তাদের।

সূচনা রাইছ এজেন্সির পাইকার মোহাম্মদ সাইফুজ্জামান বলেন, রমজানের শেষের দিকে পর্যাপ্ত চাল চলে আসবে। চালের দাম আর বাড়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। দাম যা আছে, তা-ই থাকবে। হয়তো নতুন চাল এলে দাম আরও কমতে পারে। চিনিগুড়া চালটা একটু বাড়তির দিকে। সরকার যদি এটাও আমদানি করে, তাহলে দাম কমবে।

মিলারদের দাবি, বাজার পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। ধানের দাম বাড়ার প্রভাব পড়েছে চালের দামে।

ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) পরিসংখ্যান বলছে, বছরের ব্যবধানে মোটা চালের দাম বেড়েছে প্রায় ৪ শতাংশ ।

/এমএন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply