স্থায়ী মানবিক সংকট তৈরি করছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী, শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারি) প্রকাশিত জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে এসেছে এমন অভিযোগ।
২০২২ এর ১ ফেব্রুয়ারি থেকে চলতি বছর ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত মানবাধিকার পরিস্থিতি তুলে ধরা হয় রিপোর্টে।
রিপোর্টে বলা হয়, সম্প্রতি মিয়ানমারের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে বেড়েছে সহিংসতা। নির্বিচার বিমান হামলা, গোলাবর্ষণ, উচ্ছেদ ও গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দিচ্ছে জান্তা সেনারা। মানবিক ত্রাণ প্রবেশেও বাধা দেয় তারা। বিদ্রোহী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন করে রাখতেও নানা কৌশল নেয় সেনাবাহিনী।
এ প্রসঙ্গে জাতিসংঘ মানবাধিকার বিষয়ক কমিশনের মুখপাত্র রাভিনা সামদাসানি বলেন, সহিংসতা, হত্যা, বিনা বিচারে গ্রেফতার, দমন-পীড়নের মধ্য দিয়ে ক্রমাগত মানবাধিকার লঙ্ঘন করে যাচ্ছে মিয়ানমারের সেনারা। আন্তর্জাতিক নীতিমালাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে যাচ্ছে তারা। এ বিপর্যয় রোধে এখনই কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।
জাতিসংঘের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ক্রমাগত আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে যাচ্ছে মিয়ানমারের জান্তা সরকার। অবিলম্বে সহিংসতা বন্ধের আহ্বান জানানো হয় রিপোর্টে।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের শুরুতে মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানের পর সৃষ্ট সহিংসতায় এ পর্যন্ত কমপক্ষে ২ হাজার ৯৪০ জনের মৃত্যু হয়েছে। যার ৩০ শতাংশ হয়েছে আটকাবস্থায়। গ্রেফতার করা হয়েছে ১৭ হাজার ৫শ’য়ের বেশি মানুষকে।
/এসএইচ
Leave a reply