অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে কুড়াল দিয়ে স্বামীর গোপনাঙ্গ কাটলেন পঞ্চম স্ত্রী

|

ছবি: সংগৃহীত

দিনের পর দিন মাতাল স্বামীর অত্যাচার সহ্য না করতে পেরে যৌনাঙ্গ কেটে স্বামীকে খুন করার অভিযোগ স্ত্রীর বিরুদ্ধে। অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে এর আগে ছেড়ে গেছে নিহত অই ব্যক্তির চার স্ত্রী। কিন্তু পঞ্চম স্ত্রী নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে কুড়াল দিয়ে স্বামীর গোপনাঙ্গ কাটলেন।

মধ্যপ্রদেশের সিংরাউলির ঘটনা। নিহতের নাম বীরেন্দ্র গুর্জর। অভিযুক্ত স্ত্রীর নাম কাঞ্চন গুর্জর। গত ২১ ফেব্রুয়ারি রাতে অভিযুক্ত কাঞ্চন স্বামীর খাবারে ২০টি ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দেন। পরে ঘুমন্ত অবস্থায় স্বামীর গোপনাঙ্গ এবং গলা কুড়াল দিয়ে কেটে খুন করেন।

পুলিশ বরাত দিয়ে আনন্দবাজার পত্রিকা জানিয়েছে, বীরেন্দ্রের পঞ্চম স্ত্রী ছিলেন কাঞ্চন। এর আগেও বীরেন্দ্রের হাতে নির্যাতনের শিকার হয়ে চার স্ত্রী তাকে ছেড়ে চলে গেছে। কাঞ্চন গুর্জর তার পঞ্চম স্ত্রী।

পুলিশ জানিয়েছে, গত ২২ ফেব্রুয়ারি বীরেন্দ্রের মরদেহ উদ্ধার হয়। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে বলা হয়, গলা এবং যৌনাঙ্গে আঘাতের কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে।

পুলিশ আরও জানিয়েছে, বীরেন্দ্রের স্ত্রী নিজেই থানায় স্বামীর নিখোঁজ হওয়ার মামলা দায়ের করেছিলেন। তদন্তে নেমে পুলিশ নিহতের বেশ কয়েক জন আত্মীয়কে জিজ্ঞাসাবাদ করে। এর পর স্ত্রী কাঞ্চনের উপরেও সন্দেহ প্রকাশ করে পুলিশ। পুলিশ তাকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে পুরো ঘটনা প্রকাশ্যে আসে।

জিজ্ঞাসাবাদের সময় কাঞ্চন পুলিশকে জানান, তার স্বামী বীরেন্দ্র মাদকাসক্ত ছিলেন এবং মাতাল অবস্থায় তাকে প্রতিনিয়ত মারধর করতো। আর সেই কারণেই, গত ২১ ফেব্রুয়ারি রাতে তিনি স্বামীর খাবারে ২০টি ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দেন। পরে ঘুমন্ত অবস্থায় স্বামীর যৌনাঙ্গ এবং গলায় কুড়ালের কোপ মেরে খুন করেন। খুনের পর কাঞ্চন স্বামীর লাশ কাপড়ে মুড়িয়ে রাস্তার পাশে ফেলে দেন। প্রমাণ নষ্ট করতে পুড়িয়ে দেয়া হয় নিহতের জামাকাপড় ও জুতা।

কাঞ্চনের স্বীকারোক্তির পরেই পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে। বর্তমানে তিনি জেল হেফাজতে রয়েছেন।

এনবি/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply