ডায়াবেটিস রোগীরা কি চিনির বদলে মধু খেতে পারেন? 

ডায়াবেটিস একটি বহুমূত্র রোগ। এখন প্রচুর মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। এই রোগে আক্রান্ত হলে অনেক কিছু জীবন থেকে দূর করতে হয়। তবেই রোগ নিয়ন্ত্রণে থাকে। বিশেষত, চিনি থেকে দূরে যেতে হয়। এবার প্রশ্ন হলো ডায়াবেটিস রোগীরা কি চিনির বদলে মধু খেতে পারেন?

চিকিৎসকদের মতে, মূলত কার্বোহাইড্রেট, ফ্যাট এবং প্রোটিন এই তিনটি মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টস খাবারের মধ্যে বেশি পরিমাণে থাকে। রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে কার্বোহাইড্রেটের ওপর রাশ টানতে বলা হয়। রক্তে শর্করা বেড়ে গেলে চিনি বা মিষ্টিজাতীয় খাবার খেতে বারণ করেন চিকিৎসক থেকে পুষ্টিবিদ সকলেই। কিন্তু চিনির পরিপূরক হিসাবে মধু বা গুড় ব্যবহার করেন অনেকে।

মধু কি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য সত্যিই স্বাস্থ্যকর?

মধুতে গ্লুকোজের চেয়ে ফ্রুক্টো‌জের পরিমাণ অনেকটাই বেশি। আবার এক চামচ চিনিতে যে পরিমাণ কার্বোহাইড্রেট থাকে, ঠিক একই পরিমাণ মধুতে কার্বোহাইড্রেট কিন্তু বেশি। কিন্তু ‘গ্লাইসেমিক ইনডেক্স’ এর দিক থেকে চিনির চেয়ে মধু এগিয়ে রয়েছে।

এছাড়া বিভিন্ন সমীক্ষা থেকে দেখা গিয়েছে, অ্যান্টি অক্সিড্যান্টে সমৃদ্ধ মধু কিন্তু রক্তে ‘খারাপ’ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে আনতে সক্ষম। যদিও ডায়াবেটিস রোগীর ক্ষেত্রে মধুর প্রয়োগ কতটা প্রভাব ফেলে, তা নিশ্চিতভাবে বলতে বিস্তারিত গবেষণা প্রয়োজন।

চিকিৎসকরা বলছেন, মধু খুব ভালো খাবার। তবে চিনির বিকল্প একেবারেই নয়। সুগার রোগীর জন্য চিনি তো খারাপই। তবে মধুও ততোধিক খারাপ। কারণ মধুর গ্লাইসেমিক ইনডেক্স অনেকটাই বেশি। তাই মধু রোজ খাওয়া যায় না ডায়াবেটিস থাকলে। এই খাবার খেলেও দ্রুত রক্তে সুগার বেড়ে যায়। আর তা নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়। তাই আপনাকে মধু সম্পর্কিত এই সত্যটা মাথায় রাখতে হবে।
তথ্যসূত্র: এই সময়
ইউএইচ/