ইসরায়েলে কেনো সরকার বিরোধী বিক্ষোভ-প্রতিবাদ?

|

বিচার বিভাগ সংস্কারের ঘোষণায় ক্ষোভে ফুঁসছে ইসরায়েলিরা। নেতানিয়াহু সরকারের এই পদক্ষেপ গণতন্ত্র পরিপন্থী, এমনটাই অভিযোগ। বিশ্লেষকরা বলছেন, নতুন এ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে, কমবে বিচার বিভাগের ক্ষমতা। আদালতের ওপর জোরালো হবে রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণ। শঙ্কা, পশ্চিম তীরে বাড়বে উত্তেজনার পারদ। খবর রয়টার্সের।

২০২১ সাল পর্যন্ত টানা ১২ বছর ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। ষষ্ঠবারের মতো ২০২২ সালে কট্টরপন্থীদের নিয়ে জোট সরকার গঠন করেন তিনি। ক্ষমতায় বসেই একের পর এক বিতর্কিত সিদ্ধান্তে তার বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছে সাধারণ মানুষ।

নেতানিয়াহুর জোট সরকার ক্ষমতা নেয়ার পর থেকেই ফিলিস্তিন ইস্যুতে বাড়তে শুরু করে উত্তেজনা। যা নিয়ে অসন্তোষ ছিল দেশটির সাধারণ মানুষের মাঝেও। সম্প্রতি বিচার বিভাগ সংক্রান্ত আইনে পরিবর্তন আনার ঘোষণা যেন আগুনে ঘি ঢেলে দেয়। সরকারবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল গোটা দেশ।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এ আইন পাস হলে ইসরায়েলের বিচার বিভাগের ক্ষমতা কমবে। পার্লামেন্ট এমন সব আইন পাস করতে পারবে, যা আদালত এর আগে খারিজ করে দিয়েছে। শঙ্কা, এতে বিচারবিভাগের ওপর রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণ জোরালো হবে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, নতুন আইনে নেতানিয়াহু নিজের বিরুদ্ধে চলা দুর্নীতির মামলাও খারিজ করার সুযোগ পাবেন। এমনকি পশ্চিম তীরে জোরপূর্বক বসতি স্থাপনেও কট্টর এ সরকারের থাকবে না কোনো আইনি বাধা।

এ ব্যাপারে রাজনৈতিক বিশ্লেষক রাফি বার্গ বলেন, বিচার বিভাগে পরিবর্তন আনার পর নেতানিয়াহুর দুর্নীতির মামলা বাতিল করার জন্য একে ব্যবহার করা হতে পারে। এছাড়া এ পরিকল্পনা যদি আইনে পরিণত হয় তাহলে সরকারের জন্য অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইহুদি বসতি নির্মাণ সহজ হবে।

সাম্প্রতিক একাধিক নির্বাচন এবং উগ্র ডানপন্থী সরকারের নানা পদক্ষেপে ইসরায়েলে স্পষ্ট হচ্ছিল রাজনৈতিক বিভক্তি। আর বিচার বিভাগ সংস্কারের এই পরিকল্পনায় তা আরও প্রকট হবে বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা।

এটিএম/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply