মিয়ানমারের দুই গ্রামে নারকীয় অত্যাচার চালিয়ে ১৭ বাসিন্দাকে হত্যা করেছে দেশটির সেনাবাহিনী। সোমবার (৬ মার্চ) এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনার। জান্তা সরকার বিরোধী সশস্ত্র সংগঠন পিপলস ডিফেন্স ফোর্স সাম্প্রতিক এ হত্যাযজ্ঞের খবর নিশ্চিত করেছে। খবর ইউসিএ নিউজের।
পিপলস ডিফেন্স ফোর্স তাদের বিবৃতিতে জানিয়েছে, গত এক সপ্তাহ যাবৎ নায়াংইন এবং তাতাই গ্রামে বর্বরতা চালাচ্ছে জান্তা সেনারা। ঘরবাড়িতে অগ্নিসংযোগের পাশাপাশি নারী ও শিশুদের করেছে ধর্ষণ। ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহে, পাঁচটি হেলিকপ্টারের মাধ্যমে গ্রামগুলোয় নামে জান্তা সেনারা, এমনটাই জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। এরপরই চালায় নারকীয়তা।
এ প্রসঙ্গে ইউএনওএইচসিআর এর হাই কমিশনার ভোলকার টার্ক বলেন, অভ্যুত্থানের পর বেসামরিক ঘরবাড়িতে ৩৮০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে সেনাদের অগ্নিসংযোগ। লোকালয় ধ্বংসের পরিমাণ বেড়েছে ১২০০ শতাংশ পর্যন্ত। সামরিক বাহিনীর অত্যাচারে বাস্তুচ্যুত ১৩ লাখের বেশি বাসিন্দা। হত্যা করা হয়েছে তিন হাজারের কাছাকাছি মানুষকে। এ তালিকার ২৪৪ জনই শিশু।
প্রসঙ্গত, অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলের পর কমপক্ষে ৩ হাজার বেসামরিককে হত্যা করেছে জান্তা প্রশাসন- এমন দাবি জাতিসংঘের।
/এসএইচ
Leave a reply