মহানবী (সা.) এর জীবনী নিয়ে তৈরি আলোচিত-সমালোচিত যতো সিনেমা

|

১৪’শ বছর আগে পৃথিবীতে এসেছিলেন মানবতার মুক্তির দূত, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব হযরত মুহাম্মদ (স.)। অন্যায়, অবিচার, দাসত্বের শৃঙ্খল ভেঙে তার আগমন পৃথিবীকে দেয় মুক্তি ও শান্তির সার্বজনীন বার্তা। আর এই বার্তাকে উপজীব্য করে নির্মিত হয়েছে বেশ কিছু সিনেমা।

ইসলামের নবী মুহাম্মদ (সা.) এর জীবনী নিয়ে নির্মিত চলচ্চিত্রের মাধ্যমেই ইসলামিক সিনেমার গণমুখী যাত্রা শুরু। ১৯২৬ সালে তুর্কি বীর কামাল আতাতুর্কের সরকারের অর্থায়নে নির্মিত সিনেমায় প্রথমবার হযরত মুহাম্মদ (সা.)-কে উপস্থাপন করা হয়। এর বহু বছর পর ১৯৭৬ সালে মুক্তি পায় পৃথিবীর ইতিহাসে অন্যতম আলোচিত সিনেমা ‘আর-রিসালাহ’ বা ‘দ্য ম্যাসেজ’। মহানবী হযরত মুহাম্মদ সা. এর জীবনীভিত্তিক এক ঐতিহাসিক চলচ্চিত্র এটি। সিনেমাটিতে রাসুল সা. এর নবুয়্যত প্রাপ্তির পর থেকে মক্কা বিজয় পর্যন্ত ইসলামের প্রাথমিক যুগের ইতিহাস উঠে এসেছে। ইতিহাস অবিকৃত থাকলেও মূলত সাহাবাদের বানোয়াট চরিত্র উপস্থাপনের কারণে সমালোচনার মুখে পড়ে সিনেমাটি।

হযরত মুহাম্মদ (সা.) কে নিয়ে এ পর্যন্ত ৮-১২টি চলচ্চিত্র মুক্তি পেয়েছে। যার মধ্যে ‘দ্য মেসেঞ্জার’ই একমাত্র ফিচার ফিল্ম। বাকি চলচ্চিত্রগুলোর প্রায় সবই ডকুমেন্টারি। ২০০২ সালে মুক্তি পাওয়া বহুল আলোচিত এবং জনপ্রিয় ডকুমেন্টারি- ‘মুহাম্মদ : লিগ্যাসি অব এ প্রফেট’। দু’ঘণ্টার এ ডকুমেন্টারিতে নবীজি (সা.) এর আগমনের পূর্ব অবস্থা, এবং আগমন পরবর্তী অবস্থার পরিবর্তন গুরুত্বের সাথে তুলে ধরা হয়েছে। এ সিনেমার পরিচালক ছিলেন উমর আল কাত্তান।

২০১৫ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘দ্যা মেসেঞ্জার অব গড’ নিয়েও হয়েছে অনেক আলোচনা-সমালোচনা। ‘দ্য ম্যাসেজ’ সহ অন্যান্য ইসলামি চলচ্চিত্র এবং ধারাবাহিকে যেমন রাসুলের নিকটাত্মীয়দের না দেখানোর প্রথা প্রচলিত আছে, সেটি ভঙ্গ করে এই চলচ্চিত্রে রাসুল সা. এর মা আমিনা, দুধ-মা হালিমা, চাচা আবু তালেবসহ ঘনিষ্ঠ প্রায় সবাইকেই দেখানো হয়েছে সিনেমাতে। পরবর্তীতে এ সিনেমা নিয়ে অনেক সমালোচনা শুরু হয়।

এছাড়া ‘মুহাম্মদ: দ্য লাস্ট প্রফেট’ নামে একটি এনিমেটেড সিনেমা মুক্তি পায় ২০০৪ সালে। এ সিনেমাতেও হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর পূর্বসময় এবং জীবন সম্পর্কে আলোকপাত করা হয়েছে।

সর্বশেষ ২০১২ সালে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে খবর আসে, অস্কারজয়ী প্রযোজক ব্যারি ওসবোর্ন নবীজি (সা.) কে নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণ করতে যাচ্ছেন। এ প্রযোজকের একটি বিখ্যাত চলচ্চিত্র সিরিজ ‘লর্ড অব দ্য রিং।’ নতুন এ চলচ্চিত্রের বাজেট ধরা হয়েছে ১৫০ মিলিয়ন ডলার। সিনেমাটিতে উপদেষ্টা হিসেবে মুসলিম স্কলার আল্লামা ইউসুফ আল কারজাভির থাকার কথা। বিগ বাজেটের এ সিনেমাটি আকর্ষণীয় হবে বলে আশা করছেন চলচ্চিত্রবোদ্ধারা।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply