রাজধানীর গুলিস্তানে বিআরটিসি বাস কাউন্টারের পাশে বিস্ফোরণের ঘটনায় ৫ তলা ভবনটি কাত হয়ে গেছে। এ কারণে ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধার তৎপরতা ব্যাহত হচ্ছে। এদিকে, দুর্ঘটনাস্থলে কেমিক্যাল গুদামের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি।
মঙ্গলবার (৭ মার্চ) বিকেল পৌনে ৫টার দিকে বহুতল ভবনটিতে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে এখন পর্যন্ত অন্তত ১৫ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। ইতোমধ্যে আহত অবস্থায় শতাধিক ব্যক্তিকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আর গুরুতর আহত ৭ জনকে শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। ভর্তিকৃত ৭ জনই পুরুষ। তারা হলেন— মো. হাছান, মোস্তাফা, মুসা, খলিল, আজম, অলি সিকদার ও ইয়াসিন।
দুর্ঘটনার পর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকর্মীরা। বর্তমানে ফায়ারের ১১টি ইউনিট উদ্ধার কার্যক্রম চালাচ্ছে।
এ ঘটনায় পাশের আরও একটি ৭ তলা বাণিজ্যিক ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দুই ভবনের বাসিন্দারা ছাড়াও পথচারীরা এ দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। কীভাবে এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে, তা জানা যায়নি এখনও।
এদিকে, এ বিস্ফোরণ নাশকতা নাকি দুর্ঘটনা তা তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক। ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষ সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, আমাদের বোমা বিশেষজ্ঞসহ অন্যান্য বিশেষজ্ঞরা ঘটনাস্থলে গিয়েছে। তারা তদন্ত করে দেখছে এটা নাশকতা নাকি দুর্ঘটনা। এছাড়া অনেক সময় গ্যাস জমতে পারে, এসির গ্যাস হতে পারে, পয়ঃনিষ্কাশনের গ্যাসও হতে পারে। কী কারণে বিস্ফোরণ হলো সেটা আমাদের বিভিন্ন সংস্থা খতিয়ে দেখছে। তদন্ত না করে বিস্তারিত বলা যাচ্ছে না।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, এ ঘটনায় আহতদের চিকিৎসায় প্রচুর পরিমাণে রক্তের প্রয়োজন হবে। আগ্রহী রক্তদাতাদের হাসপাতালে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
/এমএন
Leave a reply