বহুমুখী সংকটে জর্জরিত পাকিস্তানের শাহবাজ শরিফ সরকার। একদিকে অর্থনৈতিক সংকটে দেউলিয়া দেশ। অন্যদিকে ধারাবাহিক জঙ্গি হামলা নিরাপত্তা পরিস্থিতিকে করে তুলেছে প্রশ্নবিদ্ধ। চলমান টানাপোড়েনের মাঝেই জোট সরকারে ভাঙনের সুর। মাত্র একবছর হতে চললেও; দেশ পরিচালনায় ক্ষমতাসীনদের সক্ষমতা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। খবর এপি নিউজের।
খবরে বলা হয়েছে, জানুয়ারিতে পেশোয়ারের মসজিদে হামলার রেশ কাটনি এখনও। নিরাপত্তা বাহিনীকে টার্গেট করে ফের বড় হামলা। অভ্যন্তরীণ নানা সংকট সামাল দিতে হিমশিম অবস্থা শাহবাজ শরিফ প্রশাসনের। এমন সময়ই একের পর এক জঙ্গি হামলায় নড়বড়ে দেশটির নিরাপত্তা পরিস্থিতি।
পরিসংখ্যান বলছে, গত তিন মাসে পাকিস্তানজুড়ে ১৬০টির বেশি সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। যার অধিকাংশই চালানো হয় সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যদের লক্ষ্য করে।
দুর্বল নিরাপত্তা পরিস্থিতি আর অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার ফলে ৪৮ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতি চলছে এশিয়ার দেশটিতে। তলানিতে ঠেকেছে রিজার্ভ। নেই আমদানি ব্যয় মেটানোর পর্যাপ্ত ডলারও। সেই সাথে বিরোধী নেতা ইমরান খানের সাথে ক্ষমতাসীনদের দ্বন্দ্ব আর সরকারের অভ্যন্তরীণ টানাপোড়েন দেশজুড়ে বাড়িয়েছে বিভেদ। এক বছরের দেশ পরিচালনায় প্রশ্নবিদ্ধ সরকারের কার্যক্রম।
বিশ্লেষকরা বলছেন, পাকিস্তানের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট এবং নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতির পেছনে অর্থনৈতিক সংকট অনেকখানিই দায়ী। একই সাথে নীতি গঠনে দুর্বলতা আর সন্ত্রাস দমনে ক্ষমতাসীনদের ব্যর্থতাকেও অন্যতম কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন তারা। পরিস্থিতি মোকাবেলায় রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার ওপর জোর দেয়া হচ্ছে।
তুফটস ইউনিভার্সিটির সহকারী অধ্যাপক ফাহাদ হূমায়ন বলেন, এখন সবার প্রথমে পাকিস্তানের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা প্রয়োজন। অন্যথায়, দেশটির অর্থনৈতিক সংকটের জেরে সামাজিক অস্থিরতা আরও বাড়িয়ে তুলবে। সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোও আরও সক্রিয় হবে।
চলমান অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অস্থিতিশীল পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে চলতি বছরেই সাধারণ নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার গঠনের আহ্বান জানিয়েছেন বিশ্লেষকরা।
এএআর/
Leave a reply