বিক্ষোভ ও প্রতিবাদে অচল ফ্রান্স। অবসরগ্রহণের বয়সসীমা বৃদ্ধি এবং সম্পূর্ণ পেনশন পাওয়ার জন্য চাকরির মেয়াদ ও ২ বছর বৃদ্ধির প্রতিবাদে মঙ্গলবার (৭ মার্চ) দেশটির রাজপথে নামে কয়েক মিলিয়ন মানুষ। দ্য গার্ডিয়ানের খবর।
ফ্রান্সের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দাবি, বিক্ষোভে মানুষের সংখ্যা ১৩ লাখের কাছাকাছি। রাজধানী প্যারিসের পদযাত্রায় পুলিশ বাঁধা দিলে, আন্দোলনকারীদের সাথে হয় ব্যাপক সংঘাত। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে লাঠিচার্জের পাশাপাশি টিয়ার গ্যাস ছোঁড়ে নিরাপত্তা বাহিনী। নীতিমালা ভঙ্গের দায়ে কমপক্ষে ২২ জন আটক হয়েছেন। পুরো ফ্রান্সে হওয়া বিক্ষোভের কারণে বন্ধ রয়েছে ট্রেন সার্ভিস ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এমনকি, জ্বালানি সরবরাহও স্থগিত রাখা হয়।
ফ্রান্সে অবসরগ্রহণের বয়সসীমা ৬২। আর, এই বয়সসীমা দুই বছর বৃদ্ধির উদ্যোগ নিয়েছে ইমানুয়েল ম্যাকরন সরকার। জানানো হয়েছে, ৬৪ বছর পর্যন্ত চাকরি না করলে সম্পূর্ণ পেনশন পাওয়া যাবে না।
প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাকরন ইঙ্গিত দিয়েছেন, আন্দোলনের চাপে সংস্কার কার্যক্রমে কিছুটা পরিবর্তন এলেও বয়সসীমা বাড়ানোর সিদ্ধান্তে কোনো হেরফের হবে না। মন্ত্রীসভা জানিয়েছে, পেনশনের কাঠামো ভেঙে না পড়া এবং তরুণদের যেন এই বোঝা বহন করতে না হয়, সে কারণেই এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ইতালি-জার্মানি ও স্পেনে এরইমধ্যে অবসর গ্রহণের বয়সসীমা ৬৭ করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের বিক্ষোভে উত্তাল বেলজিয়াম
/এম ই
Leave a reply