গাজীপুরে মাকে গলাকেটে হত্যা, ছেলে আটক

|

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, গাজীপুর:

গাজীপুর সিটি করপোরেশনের কোনাবাড়ী কলেজগেট এলাকায় মাকে জবাই করে হত্যা করেছে ছেলে। এ ঘটনায় ওই ছেলেকে আটক করেছে পুলিশ।

বুধবার (৮ মার্চ) দুপুর ১২টায় ওই ঘটনাটি ঘটে। নিহত নারী গাজীপুরে কাপাসিয়া উপজেলার ঘোষেরকান্দি গ্রামের মৃত খলিলুর রহমানের স্ত্রী জোৎসা বেগম (৭০)। ঘাতক ছেলে হলেন শাখাওয়াত হোসেন মাসুদ (৩০)। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন গাজীপুর মেট্রোপলিটন কোনাবাড়ী জোনের উপ-সহকারী পুলিশ কমিশনার দিদারুল ইসলাম।

নিহতের মেয়ের জামাই বজলুর রহমান বলেন, আমার শ্যালক কয়েক বছর ধরে মানসিক ভারসাম্যের রুগী ছিল। গত তিন আগে তারা আমার বাসায় আসে। পরে গতকাল তাকে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। ঢাকা থেকে ফেরার পথে সন্ধ্যা হওয়ায় কাপাসিয়ায় না গিয়ে আমার বাসায় আসে। আজ দুপুর ১২টার দিকে আমার শাশুড়ি বারান্দায় পায়চারি করছিল। আমার শ্যালক তখন রুমে ছিল। পরে সে তার মাকে রুমে ডেকে নিয়ে ঘরের দরজা আটকে দেয়। পরে বাসার লোকজন রুমের দরজা খুলতে বললে সে কোনো কথার উত্তর দেয় না। পরে দরজা ভেঙে দেখা যায় বটি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে বসে আছে। পরে পুলিশকে খবর দেয়া হয়।

প্রতিবেশী রানা বলেন, আজ দুপুর ১২টার দিকে চিৎকার শুনে বাসায় গিয়ে দেখি দরজা বন্ধ। পরে পাশের রুমের ভিতরে ঢুকে সিলিং দিয়ে ওই রুমে ঢুকেই দেখি ঘরের মেঝোতে বৃদ্ধের গলা কাটা নিথর দেহ পরে আছে।

সবুজ নামে আরেক জন প্রতিবেশী বলেন, আমি পাশের ছাদ থেকে জানালা দিয়ে দেখি সে তার মাকে বটি দিয়ে উপর্যুপরি কোপাচ্ছে। এক পর্যায়ে দেহ থেকে গলা বিচ্ছিন্ন করে ফেলে।

গাজীপুর মেট্রোপলিটন কোনাবাড়ী জোনের উপ-সহকারী পুলিশ কমিশনার দিদারুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ছেলেটি মানসিক ভারসাম্যহীন। ঘটনাস্থলে ডিবি ও সিআইডির লোকজন রয়েছে। ঘাতক ছেলেকে আটক করা হয়েছে। সে তার মাকে বটি দিয়ে গলাকেটে দেহ থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন করে হত্যা করেছে। এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

ইউএইচ/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply