অজু করতে গিয়ে লঞ্চ থেকে পড়ে নিখোঁজ যুবক

|

স্টাফ করেসেপনডেন্ট, পটুয়াখালী:

পটুয়াখালীর দশমিনায় লঞ্চ থেকে নদীতে পড়ে গিয়ে নিখোঁজ মো. সাইফুল বিশ্বাস (৩০) নামের যুবকের সন্ধান মেলেনি এখনো। শুক্রবার (১০ মার্চ) ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে উপজেলার বাঁশবাড়িয়া লঞ্চঘাট এলাকার তেঁতুলিয়া নদীতে এ ঘটনা ঘটে।

লঞ্চটি ঢাকা থেকে ছেড়ে রাঙ্গাবালীর কোড়ালীয়ার উদ্দেশে আসছিল। নিখোঁজ যুবক সাইফুল রাঙ্গাবালী উপজেলার চরমোন্তাজ ইউনিয়নের মো. হানিফ বিশ্বাসের ছেলে।

রাঙ্গাবালী থানার অফিসার ইনচার্জ নুরুল ইসলাম মজুমদার জানান, নিখোঁজ সাইফুল বৃহস্পতিবার ঢাকার চাঁদপুর থেকে পূবালী-৫ লঞ্চযোগে বাড়ি ফিরছিলেন। পরে শুক্রবার ভোরে লঞ্চটি দশমিনার বাঁশবাড়িয়া লঞ্চঘাট সংলগ্ন তেঁতুলিয়া নদী অতিক্রমকালে ফজরের নামাজের জন্য লঞ্চের পেছনের দিকে অজু করতে গিয়ে নদীতে পড়ে যান। পরে খবর পেয়ে দশমিনা নৌ-পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস নদীতে উদ্ধার অভিযান চালানো শুরু করে। কিন্তু শুক্রবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত সাইফুলের কোনো খোঁজ মেলেনি।

এদিকে নিখোঁজের ১২ ঘণ্টায়ও সন্ধান না মেলায় সাইফুলের স্বজনদের মধ্যে উদ্বেগ উৎকণ্ঠা বাড়ছে।

নিখোঁজ সাইফুলের বড় ভাই বাদশা বিশ্বাস জানান, আমরা তরমুজ বিক্রি করে ঢাকা থেকে লঞ্চে বাড়ি ফিরছিলাম। পথিমধ্যে শুক্রবার ভোরে অজু করতে গিয়ে লঞ্চের পেছন দিয়ে পা পিছলে পড়ে যায়। ঘটনার ১২ ঘণ্টা পার হলেও এখনো সাইফুলের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। বাসার সবাই কান্নাকাটি করছে। প্রশাসনের কাছে উদ্ধার অভিযান জোরদার করার জন্য দাবি জানাচ্ছি।

এদিকে পটুয়াখালী নদী ফায়ার স্টেশনের অফিসার মো. রেজওয়ান জানান, শুক্রবার দুপুর ১২টা থেকে পটুয়াখালী নদী ফায়ার স্টেশনের ৪ জন এবং দশমিনা ফায়ার স্টেশনের একজন এই পাঁচজন ডুবুরি দল মিলে তেঁতুলিয়া নদীর বিভিন্ন স্পটে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করা হয়। একপর্যায়ে বিকেল ৫টা ৪৫মিনিটে দশমিনা উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে উদ্ধার অভিযান আপাতত স্থগিত রাখা হয়।

তিনি আরও জানান, নিখোঁজ লঞ্চ যাত্রী সঠিক কোন স্থান থেকে নদীতে পড়ে গেছে সেটি নির্দিষ্টভাবে কেউ বলতে না পারায় উদ্ধার অভিযানে ব্যাঘাত ঘটছে। কারণ তেঁতুলিয়া নদীর চওড়া এবং দৈর্ঘ্য অনেক বড়। রাতের মধ্যে সাইফুলের সন্ধান না মিললে আগামীকাল সকাল থেকে উদ্ধার অভিযান আবারও পরিচালনা করা হবে বলেও তিনি জানান।

/এনএএস


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply