পবিত্র রমজান মাস সামনে রেখে দেশে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে যখন উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা; ঠিক সেসময়ই বিশ্বের অনেক দেশে দেখা যাচ্ছে বিপরীত চিত্র। বিশ্বব্যাপী রেকর্ড মূল্যস্ফীতির মাঝেও, ইবাদত বন্দেগির মাসটিতে মুসলিমদের কিছুটা স্বস্তি দেয়ার চেষ্টা করছেন মধ্যপ্রাচ্যের ব্যবসায়ীরা। নিত্যপ্রয়োজনীয় এমন দশ হাজারের বেশি পণ্যের দাম কমিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। মূল্যছাড়ের হিড়িক পড়েছে সৌদি আরব, কাতার, কুয়েত, ওমানসহ আরও অনেক দেশে। পশ্চিমা দেশগুলোও নেই পিছিয়ে।
শাবান মাস থেকেই দেশে-দেশে শুরু হয়েছে রমজানের প্রস্তুতি। রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে এ বছর বিশ্বজুড়েই চড়া খাদ্যদ্রব্যের দাম। এর মাঝেও রোজাদারের অর্থকষ্ট লাঘবের মাধ্যমে সওয়াবের আশায় মূল্যছাড়ের উদ্যোগ নিয়েছেন বিক্রেতারা।
মূল্যছাড়ের সাইনবোর্ডে সয়লাব সংযুক্ত আরব আমিরাতের সুপারশপগুলো। ক্রেতাদের কে কত বেশি মূল্য ছাড় দিতে পারে- তা নিয়ে যেন রীতিমতো প্রতিযোগিতায় নেমেছে দেশটির বড় বড় চেইনশপ। দশ হাজার পণ্যের ওপর সর্বোচ্চ ৭৫ শতাংশ দাম কমিয়েছে বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান।
অন্যবারের মতো এ বছরও মূল্যছাড়ের হিড়িক পড়ে গেছে মধ্যপ্রাচ্যের আরেক দেশ কাতারে। চাল, ডাল, আটা, তেলসহ নিত্য প্রয়োজনীয় ৯০০ পণ্যের দাম কমানোর ঘোষণা দিয়েছে দেশটির বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এরইমধ্যে নতুন দাম কার্যকরও হয়েছে। ঈদ পর্যন্ত এ সুবিধা ভোগ করবেন ক্রেতারা। কাতারে শুধু দাম কমিয়েই ক্ষান্ত হয় না কর্তৃপক্ষ। বাজার পর্যায়ে দাম এবং পণ্যের গুণগত মান নিশ্চিতেও তৎপর থাকে প্রশাসন।
ত্যাগ আর আত্মশুদ্ধির মাস ঘিরে মূল্যছাড়ের কার্যক্রম শুরু হয়ে গেছে সৌদির ব্যবসায়ীদের মধ্যেও। সুপারশপ, শপিংমলগুলোতে পণ্য ভেদে ৫০ থেকে ৯০ শতাংশ পর্যন্ত দাম কমানোর ঘোষণা দেয়া হয়েছে। এমনকি কর্মীদের কর্মঘণ্টার ওপরও সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে দেয়া হয় বিশেষ সুবিধা। ইবাদত বন্দেগির এই মাসে এমন সুবিধা ভোগ করেন মালয়েশিয়া, কুয়েত, বাহরাইন, ওমানসহ মধ্যপ্রাচ্যের বেশিরভাগ দেশের মুসলিমরা।
পশ্চিমা দেশগুলোতেও পড়েছে পবিত্র রমজান মাসের প্রভাব। রেকর্ড মূল্যস্ফীতির মাঝেও যুক্তরাজ্যের সুপারশপে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ওপর বিভিন্ন মাত্রার ছাড় দিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। দাম কমানোর ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, কানাডার ছোট বড় সুপারশপ, বেকারি আর রেস্টুরেন্টও।
এএআর/
Leave a reply