রিমন রহমান:
রফতানি আয় ধারাবাহিক বাড়ছে। চলতি অর্থবছরে সাত মাসে ইইউভুক্ত দেশগুলোতে রফতানি বেড়েছে ১৫ ভাগের বেশি। একক দেশ হিসেবে এই সময়ে জার্মানিতেই গেছে সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশি পণ্য।
বলা হচ্ছে, সংকটের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ বাড়াতে ভূমিকা রাখবে রফতানি আয়। তবে, বিশ্লেষকরা বলছেন, রফতানির তুলনায় পোশাক খাতে আমদানি বেড়েছে, যা স্বস্তিদায়ক নয়। আমদানিতে লাগাম টেনে ধরার বিকল্প নেই।
চলতি অর্থবছরের সাত মাসের মধ্যে ইইউভুক্ত দেশগুলোতে রফতানি হয়েছে প্রায় ১৪ বিলিয়ন ডলারের পোশাক। জার্মানি, স্পেন, ফ্রান্সে রফতানি বাড়লেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তা কিছুটা কমেছে।
বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, আশঙ্কা করছিলাম, যুক্তরাষ্ট্রে আমাদের রফতানি কমছে বা কমবে। এটার আভাস পাচ্ছিলাম আমরা। যুদ্ধের পরে সেখানকার স্থানীয় বাজারে যে বেচাকেনা এবং ক্রেতাদের যে আগ্রহ দেখা গিয়েছিল, তাতে আমাদের ধারণা ছিল এটা কমে আসছে। যুক্তরাষ্ট্রে ১.৯৮ নেগেটিভ গ্রোথ হয়েছে। মোট রফতানি ৪.৯৮ বিলিয়নে গিয়েছে। জার্মানিতে দশমিক ৮৩ শতাংশ রফতানি বেড়েছে।
এ সময়ে অপ্রচলিত বাজারে বেড়েছে রফতানি। বিশেষ করে জাপান, মেক্সিকো, মালয়েশিয়া ও পাশ্ববর্তী দেশ ভারতে বাড়ছে রফতানি। বলা হচ্ছে, ভারতে রফতানি বৃদ্ধির উদ্যোগ নেয়া গেলে সুবিধা মিলবে বেশি। তবে, রফতানি বাড়লেও পোশাক খাতে বাড়ছে আমদানি। যা স্বস্তিদায়ক হচ্ছে না।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মানীয় ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, রফতানি ভালো হয়েছে। কিন্তু এটার বিপরীতে আমদানিও বেড়েছে। নেট রফতানি যেটা হয়েছে সেটা কিন্তু গ্রস রফতানির চেয়ে কম আছে। আর একটা বিষয়, রেমিট্যান্সে নেগেটিভ গ্রোথ হয়েছে। রফতানি ও রেমিট্যান্সের যে প্রবৃদ্ধি, যেটাকে আমরা প্রাক্কলন করছি, সেটা আমদানির ব্যয়ের জন্য যথেষ্ট হবে না।
বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ বাড়াতে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখে রফতানি আয় ও রেমিট্যান্স। তাই সংকট সামাল দিতে রফতানি পণ্য এবং বাজারের বৈচিত্র্যকরণ প্রয়োজন। ওদিকে, সামনের দিনগুলোতে রিজার্ভ বাড়ানোর বিকল্প নেই। কারণ ঋণের শর্ত হিসেবে রিজার্ভ বাড়ানোর লক্ষ্য ঠিক করে দিয়েছে আইএমএফ।
/এমএন
Leave a reply