চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি:
চুয়াডাঙ্গায় ধান-চাল সংগ্রহ অভিযানের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়নি। আমন মৌসুমের চাল কিছুটা সংগ্রহ হলেও ধান পাওয়া যায়নি এক ছটাকও। দামের তারতম্য, জটিল প্রক্রিয়া ও চুক্তির বাইরে থাকায় সরকারি ঘরে ধান-চাল দিতে আগ্রহী নন কৃষক ও মিলাররা।
এদিকে খাদ্য বিভাগ জানিয়েছে, বাজারমূল্যে যেন ঊর্ধ্বগতি না হয়, সে চিন্তা করেই সংগ্রহ মূল্য নির্ধারণ করা হয়। মূলত এ কারণেই লক্ষ্যমাত্রার বাস্তবায়ন হয়নি।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গার ৫ খাদ্য গুদামে সরকারিভাবে প্রায় চার মাসে ২ হাজার ২৫৫ টন ধান ও ৩ হাজার ৮৩৪ টন চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল। কিন্তু ভাটা পড়েছে ধান চাল সংগ্রহ অভিযানে। চাল সংগ্রহ হয়েছে ৬২ শতাংশ আর ধান সংগ্রহের পরিমাণ নেমেছে শূন্যের কোঠায়।
সরকারি সংগ্রহ মূল্যের তুলনায় বাজারদর বেশি হওয়ায় কৃষকরা সরকারের কাছে ধান বিক্রিতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। এছাড়া অনলাইনে রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে প্রক্রিয়াগত জটিলতা কৃষকদের আরও নিরুৎসাহিত করছে।
চাল দিতে অনাগ্রহী মিলাররাও। লাইসেন্স টিকিয়ে রাখতে কয়েকজন মিলার চুক্তিবদ্ধ হলেও বেশিরভাগই রয়েছেন চুক্তির বাইরে। তাই এক ছটাক ধানও সংগ্রহ করা যায়নি।
জেলা খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, বাজারমূল্যের সাথে সংগ্রহ মূল্য সমন্বয় করতে গিয়ে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
এবিষয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক একেএম শহিদুল ইসলাম বলেন, মন্ত্রণালয়ের একটা কমিটি এ নির্দেশনা দেন এবং মূল্য নির্ধারণ করেন। বাজার মূল্য যাতে ঊর্ধ্বগতি না হয় সেই প্রেক্ষাপটেই আমাদের সংগৃহীত মূল্য নির্ধারণ করা হয়।
ভালো দাম ও সহজ সুবিধা নিশ্চিত করা গেলে সরকারি গুদামে ধান চাল বিক্রিতে আগ্রহ ফিরবে কৃষক-মিলারদের।
এএআর/
Leave a reply