কাঁচামালের মূল্যের প্রভাবে বেড়েছে ফিডের দাম

|

সাইফুল ইসলাম:

ডলারের উচ্চ বিনিময় মূল্যে বিপাকে পোল্ট্রি খাতের উদ্যোক্তারা। তারা বলছেন, ফিড তৈরির জন্য গম, ভুট্টা, সয়াবিনমিলসহ নানা উপাদান আমদানি করতে হয়। আর এসব কাঁচামাল আমদানির খরচ বেড়েছে কয়েকগুণ। ডলার সংকটের কারণে এলসি খুলতেও বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে।

এসবের পাশাপাশি ওষুধের বাড়তি মূল্যের কারণে মুরগি ও ডিমের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানিয়েছেন তারা। চরম সংকটাপন্ন এই শিল্প রক্ষায় সরকারের নীতি সহায়তা প্রয়োজন বলেও উল্লেখ করেন তারা। রাজধানীতে আয়োজিত পোল্ট্রি এক্সপোতে অংশ নেয়া উদ্যোক্তারা এসব কথা বলছেন।

তামিম গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান আলী বলেন, আমাদের পোল্ট্রি শিল্পের যে কাঁচামাল লাগে, সেসবের ৮০ শতাংশ আমদানি নির্ভর। এসবের আমদানি খরচ এখন অনেকে বেড়েছে। এটিই মুরগি ও ডিমের দাম বাড়ার মূল কারণ।

নারিশের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার এস এম এ হক বলেন, এক কেজি ব্রয়লার মুরগি এখন ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। উৎপাদন খরচ কিন্তু এর কাছাকাছি। কারণ ফিডের দাম বেশি। ফিডের দাম বেশি হওয়ার কারণ— আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কাঁচামালের দাম বেশি এবং এলসি খুলতে সমস্যা হচ্ছে, তাই কাঁচামাল আমদানিও ঠিকমতো করা যাচ্ছে না।

পোল্ট্রি ফিডের বাড়তি দামের প্রভাবে বাচ্চা উৎপাদনের খরচও বাড়ছে। এক বছরের ব্যবধানে ৭ টাকার বাচ্চা এখন বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকারও বেশি দামে। যার প্রভাবে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৬০ টাকা কেজি দরে। দাম বেড়েছে ডিমেরও।

ডায়মন্ড গ্রুপের জেনারেল ম্যানেজার মো. আসাদুজ্জামান মেজবা বলেন, একসময় ১ কেজি ভুট্টা কিনতাম ২০ টাকায়। আর এখন কিনতে হচ্ছে কেজিপ্রতি ৪০ টাকায়। আর ৪৫-৪৬ টাকার সয়াবিন কিনতে হচ্ছে ৮০-৮২ টাকায়। ফিডের খরচ কমাতে না পারলে কখনোই মুরগি ও ডিম উৎপাদনের খরচ কমানো যাবে না।

পোল্ট্রি এক্সপোতে এই শিল্পের নতুন প্রযুক্তি ও মেশিনারিজের প্রদর্শনী করা হচ্ছে। তুলে ধরা হয়েছে খামার, হ্যাচারি, ফিড মিল, প্রসেসিং শিল্পের নানা দিক। এতে অংশ নিয়েছে ২০ দেশের ১৬৯টি প্রতিষ্ঠান। আগামীকাল শনিবার (১৮ মার্চ) রাতে শেষ হবে এই প্রদর্শনী।

/এমএন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply