সিলেটে আবার নিজেদের রেকর্ড নিজেরাই ভাঙ্গলেন টাইগাররা। একদিনের ম্যাচে ১৬৯ রানের জয়কে পেছনে ফেলে নতুন করে ইতিহাস লিখলো বাংলাদেশ। এদিন আয়ারল্যান্ডকে তারা হারিয়েছে ১৮৩ রানের বড় ব্যবধানে। প্রথমে ব্যাট করে সাকিব-হৃদয়-মুশফিকের অনবদ্য ব্যাটিংয়ের সুবাদে ৮ উইকেটে ৩৩৮ রান করে স্বাগতিকরা। জবাবে বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিং’এ ৩০ ওভার ৫ বলে ১৫৫ রানে গুটিয়ে যায় আইরিশদের ইনিংস।
বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান ব্যবধানের জয় ছিল সিলেটের এই মাঠেই। ২০২০ সালে তারা জিম্বাবুয়েকে হারিয়েছিলো ১৬৯ রানে। শনিবার (১৮ মার্চ) ৩৩৯ রানের পাহাড়সম টার্গেট তাড়া করতে নেমে অবশ্য শুরুতে খেই হারিয়েছে সফরকারী আইরিশরা। উদ্বোধনী জুটিতে দুই আইরিশ ওপেনার ৬০ রান তুললেও তা পর্যাপ্ত ছিল না। স্টেফেন ডোহনি আর পল স্টার্লিং এর পর বাকিরাও ব্যর্থ হওয়ায় ৭৬ রানেই ৫ উইকেট হারিয়ে বসে আয়ারল্যান্ড।
এরপর, ডকরেল আর ক্যাম্ফার কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে তুললেও জয়ের জন্য তা মোটেও যথেষ্ট ছিল না। জর্জ ডকরেল করেছেন ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ৪৫ রান। এবাদতের ৪টি আর নাসুমের ৩ উইকেট শিকারের সুবাদে ১৫৫ রানে থামে আয়ারল্যান্ডের ইনিংস।
এর আগে, ১ম ইনিংসের শুরুতেই অধিনায়ক তামিম ইকবালের উইকেট পড়ে গেলে লিটন দাসের ব্যাটে কিছুটা আস্থা পেয়েছিল টাইগাররা। কিন্তু, কার্টিস ক্যাম্ফারের স্লোয়ারে বিভ্রান্ত হয়ে সোজা ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরে ফিরেছেন তিনিও। দলীয় ৮১ রানের মাথায় অ্যান্ডি ম্যাকব্রাইনের ফ্লাইট বুঝতে না পেরে বোল্ড হন ইনফর্ম ব্যাটার নাজমুল হোসেন শান্ত। ৩৪ বলে ২৫ রানের ইনিংস খেলে এভাবে আউট হওয়াটা তিনি মেনে নিতে পারেননি, তা স্পষ্ট হয়েছে শান্তর অভিব্যক্তিতেই।
অবশ্য, সে জন্য খুব বেশি ভুগতে হয়নি টাইগারদের। সাকিব আল হাসান ও তৌহিদ হৃদয়ের ১৩৫ রানের জুটিতেই নিশ্চিত হয় টাইগারদের বড় স্কোর। কিন্তু, নার্ভাস নাইন্টিজে গিয়েই শেষ হয়েছে সবচেয়ে বেশি রান করা দুই ব্যাটারের ইনিংস। ২৫ ম্যাচ ধরে অধরা যে সেঞ্চুরি, সেটির দেখা এদিনও পাননি সাকিব আল হাসান। গ্রাহাম হুমের করা ৩৮তম ওভারের প্রথম বলেই উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফেলেন তিনি। ৯টি চারের সুবাদে ৮৯ বলে ৯৩ রানে থামে তার এবারের ইনিংস।
হিউমের শিকার হয়েছেন তৌহিদ হৃদয়ও। সাকিবের চেয়ে মাত্র এক রান কম করেছেন তরুণ এ ডানহাতি ব্যাটার। কিন্তু অভিষেকেই মেইডেন সেঞ্চুরির ঝলমলে রেকর্ড ছোঁয়া হলো না বলে কিছুটা আক্ষেপ তো থাকতেই পারে তৌহিদ হৃদয়ের। হিউমের স্লোয়ার ইয়র্কারে লাইন মিস হলে বোল্ড হন হৃদয়। তার ইনিংসে ছিল ৮টি বাউন্ডারি ও ২টি ওভার বাউন্ডারি। এর কিছুক্ষণ আগেই অবশ্য ফিরে গেছেন মুশফিকুর রহিম। সাকিব-হৃদয়ের বড় ইনিংসের মাঝে ‘মিস্টার ডিপেন্ডেবল’ খেলেছেন ২৬ বলে ৪৪ রানের ক্যামিও। ৩টি করে চার ও ছক্কা হাঁকিয়েছেন মুশফিক। শেষদিকে ইয়াসির আলী, তাসকিন ও নাসুমের ছোট্ট তিনটি কার্যকর ইনিংসের সুবাদে আইরিশদের সামনে রানের পাহাড় দাঁড় করায় বাংলাদেশ।
সোমবার (২০ মার্চ) সিরিজের ২য় একদিনের ম্যাচে একই মাঠে আবারও মুখোমুখি হবে দুই দল।
/এ এইচ
Leave a reply