নিরাপদ সড়কের দাবিতে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে বৃষ্টির মধ্যে আজ শনিবার সকাল থেকে অবস্থান নিয়েছে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা। গত কয়েক দিনের মতো আজও বিভিন্ন স্থানে গাড়ি থামিয়ে লাইসেন্স যাচাই করতে দেখো গেছে তাদের। কিছু জায়গায় পুলিশ শিক্ষার্থীদের বুঝিয়ে রাস্তা থেকে সরে যাওয়ার অনুরোধ করলেও সাড়া মেলেনি।
ফার্মগেট, সাইন্সল্যাব, মিরপুর, বিমানবন্দর সড়ক ইত্যাদি স্থানে রাস্তায় শিক্ষার্থীদের অবস্থানের কথা জানিয়েছেন আমাদের প্রতিনিধিরা। উত্তরা হাউজ বিল্ডিং এলাকায় বিপুল সংখ্যা শিক্ষার্থী ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়কে অবস্থান নিয়েছে।
এদিকে আন্দোলনের মধ্যে সড়কে বাস না নামানোর ঘোষণা দিয়েছেন পরিবহন মালিকরা। ফলে কোটি মানুষের এই নগরীতে মানুষের ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে। বাস না পেয়ে অটোরিকশায় দ্বিগুণ-তিন গুণ ভাড়া গুণতে হচ্ছে মানুষকে। আবার মানুষের তুলনায় অটোরিকশা কম বলে সবাই তা পাচ্ছেনও না।
গত ২৯ জুলাই ঢাকার বিমানবন্দর সড়কে বাসের চাপায় দুই কলেজ শিক্ষার্থীর মৃত্যুর পর সড়কে নামে শিক্ষার্থীরা। এরপর বৃহস্পতিবার সরকার আন্দোলনকারীদের দাবি মানার ঘোষণা দিয়ে তাদের ঘরে ফেরার আহ্বান জানানোর পর অঘোষিত ধর্মঘট শুরু করে পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা।
সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে তারা শিক্ষার্থীদের ৯ দফা দাবির সবগুলোকেই ন্যায্য মনে করেন। এবং একাধিক দাবি ইতোমধ্যে মেনে নিয়ে বাকিগুলো বাস্তবায়নে দ্রুত কাজ করছে সরকার। ইতোমধ্যে দুর্ঘটনায় নিহত শিক্ষার্থী দিয়া ও রাজীবের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রমিজউদ্দিন স্কুল এন্ড কলেজকে ৫টি বাস প্রদান করেছেন প্রধানমন্ত্রী। অভিযুক্ত চালক ও বাস মালিককে আটক করে তাদের বিচার প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে।
Leave a reply