ডাকওয়ার্থ অ্যান্ড লুইস পদ্ধতিতে ক্যারিবিয়ানদের ১৯ রানে হারিয়ে সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ। লিটন দাস ও মাহমুদুল্লার ঝড়ো ব্যাটিংয়ে উইন্ডিজকে ১৮৫ রানের টার্গেট দেয় বাংলাদেশ। জবাবে মোস্তাফিজ আর রুবেলের বোলিং নৈপূণ্যে ১৮তম ওভারের প্রথম বল পর্যন্ত ৭ উইকেটে ১৩৫ রান করে ক্যারিবীয়রা। এরপর বৃষ্টির বাধায় ম্যাচ আর মাঠে না গড়ালে বৃষ্টি আইনে জয় পায় বাংলাদেশ।
উইন্ডিজদের বিপক্ষে বিবর্ণ টেস্ট সিরিজে বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে উজ্জল ছিলেন লিটন দাস। কিন্তু ওয়ানডেতে সুযোগ না পাওয়া এই ক্রিকেটার প্রস্তুতি ম্যাচে আলো ছড়িয়ে সুযোগ পান টি টোয়েন্টিতে। প্রথম দুই ম্যাচে সাফল্য না পেলেও তৃতীয় ম্যাচে স্বরূপে ফেরেন লিটন।
তামিম ইকবালের সাথে তার উদ্বোধনি জুটিতে ২২ বলে টি টোয়েন্টিতে দ্রুততম ফিফটি পায় বাংলাদেশ। ৬১ রানে জুটি ভাঙ্গে তামিম ইকবাল ২১ রানে ব্র্যাথওয়েটের পেসে কাটা পড়লে।
টানা তৃতীয় ম্যাচে ব্যর্থ সৌম্য সরকার ও মুশফিকুর রহিম। সৌম্য ৫ করে পল আর ব্র্যাথওয়েটের দ্বিতীয় শিকার হন ১২ রান করা মুশি।
তবে ঠিকই ২৪ বলে ৩ ছক্কা আর ৫ চারে ক্যারিয়ারে প্রথম ফিফটি তুলেনেন লিটন দাস। যা বাংলাদেশি কোন ব্যাটসম্যানের দ্বিতীয় দ্রুততম ফিফটি। ২০ বলে আশরাফুলের অর্ধশতক এখনও সেরা। লিটন ঝড় থামান কেরসিক উইলিয়ামস। ৬১ রানে দিনাজপুরের এই ক্রিকেটার যখন ফেরেন স্কোর বোর্ডে টাইগারদের স্কোর ৪ উইকেটে ১০২।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ক্যারিয়ারে এক যুগে পা দেয়ার ম্যাচে ভাল শুরু পেয়েছিলেন টাইগার অধিনায়ক সাকিব আল হাসানও। তবে ব্যক্তিগত ২৪ রানে মনোসংযোগ হারান দেশ সেরা এই অলরাউন্ডার।
তবে শেষে দিকে মুহমুদুল্লার ঝড়ো ৩২ আর আরিফুল হকের ১৮ রানের ইনিংসে ভর করে ৫ উইকেটে ১৮৪ রান করে টাইগাররা।
বোলিংয়েও শুরুটা দুর্দান্ত হয় বাংলাদেশের। ব্যক্তিগত ৬ রানে ফ্লেচারকে ফেরান মোস্তাফিজুর রহমান। এরপর ১৯ করা চ্যাটউইক ওয়ালটনকে ফেরান পার্ট টাইম বোলার সৌম্য সরকার। আর মারলন স্যামুয়েলসকে সাকিব বোল্ড করলে ৩২ রানে তিন উইকেটের দল উইন্ডিজ।
এরপর দিনেশ রামদিন আর রভম্যান পাওয়েল প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। ৪৫ রানে এই জুটি ভাঙ্গেন ২১ করা রামদিনকে রুবেল বোল্ড করে। সঙ্গী হারিয়ে পাওয়েল ২৩ করে ফেরেন ফিজের দ্বিতীয় শিকার হয়ে। ক্যারিবিয়ানদের স্কোর তখন ৫ উইকেটে ৯৬।
এমন পরিস্থতিতে ঝড়ো ইনিংস খেলে দলকে ম্যাচে ফেরানোর চেষ্টা করেন আন্দ্রে রাসেল। তবে ৪৭ রানে রাসেল ঝড় থামান ফিজ। যখন ক্যারিবিয়ানদের প্রয়োজন ১৭ বলে ৫০ রান তখন বৃষ্টির বাধায় ম্যাচ দ্বিতীয় দফা বন্ধ হয়।
যমুনা অনলাইন: এমআইআর/আরএম
Leave a reply