মামির সাথে পরকীয়া, যুবকের কব্জি কর্তন

|

স্টাফ করেসপনডেন্ট, চাঁপাইনবাবগঞ্জ:

চাঁপাইনবাবগঞ্জে আপন মামির সাথে পরকীয়ার জেরে রুবেল হোসেন (২৮) নামে এক যুবকের হাতের কব্জি বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে মামির পরিবারের সদস্যরা।

মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শিবগঞ্জ উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নে ঘটনাটি ঘটেছে। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় রুবেল হোসেনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আহত রুবেল শাহবাজপুর ইউনিয়নের চাকপাড়া গ্রামের মৃত মতিবুর রহমানের ছেলে।

আহত রুবেলের ছোট ভাই লিটন হোসেন জানান, ধোবড়া এলাকার এমেলি খাতুন নামে এক গৃহবধূর সাথে রুবেল হোসেনের পরকীয়া সম্পর্ক ছিল। এটি মেনে নিতে পারেনি এমেলির পরিবার। এ নিয়ে আজ বেলা ১১টার দিকে রুবেল ট্রলিভর্তি গম নিয়ে সোনা মসজিদ থেকে নিজ বাড়ির দিকে যাচ্ছিল। এ সময় এমেলির পরিবারের লোকজন গাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গোড়াদহ বিলে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে ডান হাতের কব্জি কেটে ফেলে।

লিটন হোসেন আরও বলেন, প্রায় দুই বছর আগে রুবেল বিয়ে করে বিনোদপুর ইউনিয়নের বাখের আলী বিশ্বনাথপুর গ্রামে। সে বউ এখনো রয়েছে। তার মাঝেই সম্পর্ক গড়ে উঠে মামি এমেলি খাতুনের সঙ্গে। এরপর দুই মাস আগে তারা পরকীয়ায় জড়িয়ে বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র পালিয়ে আত্মগোপন করে। তখন তাদের বুঝিয়ে মেয়েকে তার স্বামীর কাছে ফিরিয়ে দেয়া হয়। এরপর আবারও মাসখানেক আগে স্বামীর বাড়ি থেকে রুবেলের সাথে পালিয়ে যান এমেলি খাতুন। এরপর থেকে তাদের হেফাজতেই রয়েছে এমেলি খাতুন।

শিবগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক সাইফুল ইসলাম জানান, একবার পারিবারিকভাবে মীমাংসা করে মেয়েকে স্বামীর কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে আবারও পালালে রোববার রাতে এমেলির বাবা একরামুল হক বাদী হয়ে থানায় অপহরণ মামলা দায়ের করেন। এরপর মেয়েকে উদ্ধারে কাজ শুরু করে পুলিশ। কিন্তু তার মাঝেই এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে গেল।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক এইচ এম মাসুম শিমুল জানান, ডান হাতের কব্জি বিচ্ছিন্ন অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে জরুরিভাবে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।

শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চৌধুরি জোবায়ের আহমেদ জানান, পরকীয়ার কারণেই এমেলির আত্মীয় স্বজনরা রুবেলের হাত কেটে নিয়েছে বলে অভিযোগ পেয়েছি। পুলিশ অপরাধীদের ধরতে অভিযান শুরু করেছে।

ইউএইচ/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply