ঘরের মাঠে কোনো ফরম্যাটেই আয়ারল্যান্ডের কাছে হারের লজ্জা পায়নি টাইগাররা। যে সিরিজ শুরু হয়েছিল রেকর্ড গড়া ভাঙ্গার মধ্য দিয়ে, তার ধারাবাহিকতা বজায় থাকলো সিরিজের শেষ ম্যাচেও। তবে এবার হারের লজ্জায় পড়তে হলো স্বাগতিকদের। পল স্টার্লিংয়ের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশের দেয়া ১২৫ রানের লক্ষ্য ৬ ওভার ও ৭ উইকেট হাতে রেখেই টপকে যায় আয়ারল্যান্ড। সিরিজ হারলেও আইরিশরা পেয়েছে সান্ত্বনার জয়।
চট্টগ্রামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে বড় সংগ্রহের স্বপ্ন দেখার আগেই শেষ হয়ে যায় সব। ২য় ওভারে লিটন, ৩য় ওভারে শান্ত, ৪র্থ ওভারে রনি তালুকদার, ৬ষ্ঠ ওভারে সাকিব আর ৭ম ওভারে তাওহীদ হৃদয় আউট হবার পর তাসের ঘরের মতো ভেঙ্গে পড়ে বাংলাদেশের ব্যাটিং। ৪১ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর লড়াইটা একাই চালিয়ে যান শামীম পাটোয়ারী। ১০ ওভারের মধ্যে ৭ উইকেট পড়ার পরও শেষ ওভার পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাট করেছে শামীমের কৃতিত্বে।
অন্যপ্রান্তে যখন একের পর উইকেট পড়ছে তখন ৪২ বলে ৫১ রানের এক ঝলমলে ইনিংসে খেলেন শামীম। নিজের ১৫তম টি-টোয়েন্টিতে স্পর্শ করেন ১ম অর্ধশতক। ইনিংসের চার বল বাকি থাকতে শেষ ব্যাটার হিসেবে যখন শামীম আউট হন তখন দলের রান ১২৪। এই বাঁহাতি ব্যাটার ছাড়া বাংলাদেশের ইনিংসে দুই অংকের কোটা স্পর্শ করেছেন কেবল ৩ জন। রনির ১৪, তাওহীদ হৃদয়ের ১২ আর শেষ দিকে নাসুমের ১৩ রানে সম্মান বাঁচানোর চেষ্টা করে টাইগাররা।
১২৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ১৭ রানে তাসকিন আউট করেন রস অ্যাডেয়ারকে। এরপর লোরকান টাকারকে শরিফুল ইসলাম আউট করলে ম্যাচে ফেরার কিছুটা সম্ভাবনা জাগে বাংলাদেশের। কিন্তু এমন দারুণ সুযোগ কী করে ছাড়েন পল স্টার্লিং! স্বাগতিক বোলারদের উইকেটের চারপাশে আঁছড়ে ফেলে তিনি তুলে নেন অর্ধশতক। মাত্র ৩৬ বলে ৫০ রান করে বাংলাদেশকে ম্যাচ থেকে কার্যত ছিটকে দেন এই আইরিশ ওপেনার।
ব্যক্তিগত ৭৭ রান করে যখন রিশাদ হোসেনের অভিষেক উইকেটে পরিণত হন স্টার্লিং, ততক্ষণে আয়ারল্যান্ডের রান ১০৯। এরপর বাকি কাজটুকু সারেন হ্যারি টেকটর আর কার্টিস ক্যাম্ফার। ৭ উইকেটের এই জয়ে হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর পাশাপাশি, বাংলাদেশের মাটিতে যেকোনো ফরম্যাটে টাইগারদের হারিয়ে ইতিহাস লিখলো সফররতরা। ম্যাচ সেরা হয়েছেন পল স্টার্লিং আর সিরিজ সেরা তাসকিন আহমেদ।
/এ এইচ
Leave a reply