ড্রেসিংরুমে অসন্তোষ এবং খেলোয়াড় নির্বাচনে কিছু সিদ্ধান্ত- চেলসি কোচের সদা পরিবর্তনশীল হটসিট থেকে গ্রাহাম পটারের বিদায়ের কারণ হিসেবে এসবকেই সামনে এনেছে গোল ডটকম। অ্যাস্টন ভিলার বিরুদ্ধে ২-০ গোলে হারের পর রোববারই (২ এপ্রিল) পটার জেনে যান, টেড বোহলি এবং চেলসির কর্তাব্যক্তিদের আস্থা হারিয়েছেন তিনি।
মাত্র ৬ মাস এবং ৩১ ম্যাচ পরই চেলসির ডাগআউটে দাঁড়ানোর অধিকার হারালেন গ্রাহাম পটার। ওয়েস্ট লন্ডনের এই ক্লাবটির মালিকপক্ষও পটারের উপর আস্থা রাখতে চেয়েছিল। আশা করা হয়েছিল, এই কোচের অধীনে উন্নতির কিছুটা ইঙ্গিত দিতে পারবে টমাস টুখেলের মেয়াদের শেষদিকে ধুঁকতে থাকা চেলসি। পটার শুরুটাও করেছিলেন ঢিমেতালে। কিন্তু এরপর তার অধীনে চেলসির পারফরমেন্সের অধঃগতিকে যেন আর কোনোভাবেই অগ্রাহ্য করা যাচ্ছিল না। অ্যাস্টন ভিলার বিরুদ্ধে হেরে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের পয়েন্ট টেবিলে ১১ নম্বরে অবস্থান করছে ওয়েস্ট লন্ডনের এই ক্লাব।
দ্য টেলিগ্রাফ জানিয়েছে, গ্রাহাম পটারের বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েই অসন্তোষ ছিল চেলসি ড্রেসিংরুমে। ব্রাইটনের সাবেক এই কোচ চলতি মৌসুমেই চড়া দামে কিনে আনা মিখাইলো মুড্রিককে দিয়ে যাচ্ছিলেন একের পর এক সুযোগ। আর বেঞ্চ গরম করে চলছিলেন ম্যাসন মাউন্ট। কিন্তু এতে ন্যূনতম সাফল্যও আসেনি বলে চেলসির মতো শিরোপার লড়াইয়ে থাকা ক্লাবের জন্য পটার আদৌ উপযুক্ত কিনা, তা নিয়ে ওঠে প্রশ্ন।
টমাস টুখেল চলে যাওয়ার পর থেকে চলতি মৌসুমকে চেলসি অনেকটাই বিবেচনা করে আসছে পরীক্ষামূলক হিসেবে। পটার থাকবেন নাকি চলে যাবেন, সে বিচারে তাই চেলসির শীর্ষ চারে থেকে চ্যাম্পিয়নস লিগে খেলা নিশ্চিত করতে পারার বিষয়টি ততোটা গুরুত্ব পায়নি। কিন্তু পয়েন্ট টেবিলের শেষার্ধে চেলসির জায়গা করে নেয়াকে পুরোপুরি ‘অগ্রহণযোগ্য’ হিসেবে দেখছে ক্লাবটির মালিকপক্ষ। তাই, অ্যাস্টন ভিলার বিরুদ্ধে হারেই বেজে উঠলো পটারের বিদায়ঘণ্টা। রোববার স্থানীয় সময় বিকেল ৩টায় জানানো হয়, স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে দেখা যাবে না গ্রাহাম পটারকে।
আরও পড়ুন: ম্যান ইউনাইটেডকে হারিয়ে নিউক্যাসলের চমক
/এম ই
Leave a reply