টাকার অভাবে বাংলাদেশ নারী দুটবল দল অলিম্পিক বাছাই খেলতে যায়নি, অথচ এ কথা জানতেন না প্রধানমন্ত্রী। যে কারণে তিনি ক্ষুব্ধ হয়েছেন ফেডারেশন সভাপতি কাজী সালাহউদ্দিনের ওপর। আর সে কথা স্বীকারও করেছেন বাফুফে সভাপতি। বলেছেন, ক্রীড়া মন্ত্রণালয় থেকে সহযোগিতাও পাচ্ছেন না। আর, যাই ঘটুক না কেনো তিনি বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের মতো সবার সামনে প্রধানমন্ত্রীকে ফোন দিতে পারবেন না বলেও জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন যেনো এক তলাবিহীন ঝুঁড়ি। যে নারী দলের এতো অর্জন সেই নারী দলকেই টাকার অভাবে পাঠানো যাচ্ছে না অলিম্পিকের বাছাই খেলতে! নিজেদের যে অর্থ নেই সেটা প্রকাশ্যে স্বীকারও করলেন বাফুফে সভাপতি কাজী সালাহউদ্দিন।
অথচ এই নারী দলের অর্জনে প্রতিবারই নিজ হাতে সংবর্ধনা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার কাছে চাইতেও কুণ্ঠাবোধ বাফুফে সভাপতির। বাংলাদেশের ফুটবল রসাতলে গেলেও নিজের ইমেজ রক্ষাই যেনো সবার আগে।
সম্প্রতি গণমাধ্যমকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বাফুফে সভাপতি কাজী সালাহউদ্দিন বলেন, সবার পার্সোনালিটি তো এক রকম না। আমি তো পাবলিককে দেখিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সাথে কথা বলবো না। আমি ওই ব্যক্তিটি নই। স্বাধীনতা থেকে এখনও পর্যন্ত আমি দেশের ফুটবলের দুঃসময়ে পাশে ছিলাম। আর প্রধানমন্ত্রীর সাথে কথা বলছি কী না এটা আমি পাবলিকলি দেখাতে পারি না, এটা আমার চরিত্রে নেই।
তিনি ১৫ বছর ধরে বাফুফের দায়িত্বে থাকার পরও বাংলাদেশের ফুটবল হাঁটছে পেছন দিকেই। সে দায় তিনি চাপালেন সংবাদমাধ্যমের উপর। কাজী সালাউদ্দিনের অভিযোগ, আপনারা (সাংবাদিকরা) আমাদের সাথে সঠিক আচরণ করেন না। আপনারা চেষ্টাই করেন আমাদের ইমেজ খারাপ করার।
নারী ফুটবল দলের ব্যাপারে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় থেকেও কোনো সহযোগিতা পাচ্ছেন না বলেও জানিয়েছেন বাফুফে সভাপতি। বলেন, আমি এ ব্যাপারে বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব শাহেদ রেজার সাথে সরাসরি কথা বলেছি। উনি বলেছেন যে, তারা কোনো টাকা দিতে পারবেন না। আমি বললাম যে, কী করবো তাহলে? উনি বললেন, তাহলে টিম যাবে না। আমাকে চেষ্টা করে দেখতে বললেন। আমি আরও একটা জায়গায় স্পন্সরের জন্য কথা বললাম। কিন্তু ইতিবাচক কিছু পাইনি। এজন্য এই প্রোগ্রামটা আমাদেরকে বাদ দিতে হলো।
প্রসঙ্গত, গত ১৫ বছরেও বাংলাদেশের ফুটবলের জন্য সুনির্দিষ্ট কোনো আর্থিক কাঠামো দাঁড় করাতে পারেননি বাফুফে সভাপতি কাজী সালাহউদ্দিন। সরকারের সহায়তা না পেলে এবার দেশের ফুটবল বাঁচানোই হয়ে উঠতে পারে দুষ্কর।
/এসএইচ
Leave a reply