স্টাফ করেসপনডেন্ট, কিশোরগঞ্জ:
কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যুতের লাইনের কারণে প্রায়ই ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। সম্প্রতি দুইহাত হারিয়েছে এক শিশু। এলাকাবাসী সমস্যা সমাধানের দাবি জানালেও তাদের দাবি উপেক্ষিত। অভিযোগ, লাইন মেরামতের জন্য ঘুষ দাবির। প্রতিবাদে বিদ্যুতায়ন বোর্ড চেয়ারম্যানের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন গ্রাহকরা।
২০২১ সালের ১৬ এপ্রিল বাড়ির ছাদে ঘুড়ি উড়াতে গিয়ে বিদ্যুস্পৃষ্ট হয় সাদাফ নামের এক শিশু। মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে জীবিত বাড়ি ফিরলেও শিশুটি হারিয়েছে দুই হাত।
দুর্ঘটনার পর ঝুঁকিপূর্ণ লাইন সরিয়ে ফেলার জোর দাবি ওঠে। তৎকালীন কিশোরগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার দাবি পূরণের আশ্বাসও দেন, নেয়া হয় প্রকল্প। কিন্তু, তার বদলির পর থমকে যায় সব। অভিযোগ উঠেছে, মেরামত প্রকল্প বাস্তবায়নে এলাকাবাসীর কাছে উৎকোচ দাবি করা হয়েছে। প্রতিবাদে বিদ্যুতায়ন বোর্ড চেয়ারম্যানের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন তারা।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, ওদের অফিসে গেলে কোনো প্রতিকার পাই না। টাকা ছাড়া তারা কথাও বলে না। জিএম স্যার নাকি বলেছেন যে তাকে নাকি এক লক্ষ টাকা দিতে হবে। পরে কমতে কমতে সেটি ৫০ হাজারে এসে ঠেকেছে। কিন্তু আমাদের প্রশ্ন হলো পাবলিক টাকা দিবে কেনো?
উৎকোচ চাওয়ার বিষয়টি জানা নেই বলে দাবি সংশ্লিষ্টদের। আশ্বাস দিলেন শিগগিরই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার।
হোসেনপুর পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএম আবদুল্লাহ আল আমিন বলেন, প্রকল্পটি প্রক্রিয়াধীন আছে। কাজটা দ্রুতই হয়ে যাবে। আমরা জায়াগাগুলো পরিদর্শন করেছি। এলাকাটিকে ঝুঁকিমুক্ত করার প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানান তিনি।
অবশ্য তার আগে, গ্রাহকদের ধৈর্য্য ধরার পরামর্শ দিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ।
/এসএইচ
Leave a reply